দুই মুটিয়ার বচসা থেকে মারামারি। শেষমেশ মৃত্যু হল এক মুটিয়ার। অভিযুক্ত পলাতক। দুর্গাপুরের সেন মার্কেটে এই ঘটনায় সোমবার সকালে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। জানা গেছে, দেরিতে কাজে আসা নিয়ে দুই মুটিয়ার মধ্যে বচসার সূত্রপাত, যার পরিণতিতে মৃত্যু হল একজনের। বিহারের বকতিয়ারপুরের বাসিন্দা ওই মুটিয়ার নাম যোগেন্দর রাম বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। অভিযুক্ত কাজু রাম পলাতক। দুর্গাপুরের সেন মার্কেট বাজারের এই ঘটনায় এখন পুলিশ অভিযুক্ত কাজু রামকে খুঁজছে।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার রাতে। অভিযোগ, প্রায়ই মদ খেয়ে কাজে দেরিতে আসতো কাজু রাম, আর এর প্রতিবাদ করেছিল বছর পঁয়ত্রিশের যোগেন্দর রাম, দু-চার কথা হতে হতে যোগেন্দরের সাথে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় কাজু রামের। সেন মার্কেটের পাইকারি বাজারের সবজির আড়তদার সাগর সাহার দোকানের সামনেই দু’জনের হাতাহাতি হতে হতে বস্তা কাটার ধারালো ছুরি চালিয়ে দেয় কাজু, আর সেই ছুরি এসে লাগে যোগেন্দরের পেটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয় যোগেন্দরকে, অবস্থার অবনতি হওয়ায় সোমবার সকালে তাকে বিধাননগরে একটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় যোগেন্দরের। খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কোকওভেন থানার পুলিশ। ছুটে আসেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের এসিপি (পূর্ব) ধ্রুবজ্যোতি মুখোপাধ্যায়।
পুলিশ এক সবজির আড়তদারের দোকানে লাগানো সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্তকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের এসিপি (পূর্ব) ধ্রুৱজ্যোতি মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অভিযুক্ত পালিয়ে গেছে। ঘটনার তদন্তর সাথে সাথে দুষ্কৃতির খোঁজ চালাচ্ছেন তারা। যোগেন্দরের ভাই ভীম রাম অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানিয়েছে। বিহারের একই গ্রামে থাকতেন যোগেন্দর ও কাজু রাম। কাজুকে বিহার থেকে দুর্গাপুরে কাজে নিয়ে এসেছিল যোগেন্দর। পুলিশ মৃতদেহর ময়না তদন্তর জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।