দুর্গাপুরের পৌরনির্বাচনকে কেন্দ্র করে কংগ্রেসের ঘরে ফের বড়সড় ভাঙ্গন ধরল। এবার কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের নেতারা আসন্ন পৌরনির্বাচনে শাসকদলের বিজয় নিশ্চিত করতে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাল। দুর্গাপুরে কংগ্রেস মাত্র ৮ টি আসনে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তার মধ্যে ১৭ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নেওয়ায় মাত্র ৭ টি আসনে কংগ্রেস এবার লড়ছে। শিল্পাঞ্চল কংগ্রেসের সভাপতির সঙ্গে মনোমালিন্যে বর্ষীয়ান কংগ্রেসীরা একদিকে আর বর্তমান দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল সভাপতি আর এক দিকে অবস্থান করছেন।
গত বিধানসভায় সিপিএম ও কংগ্রেস জোট বঁধে বিরাট সাফল্য পায়। সেই সাফল্যকে ধরে রাখতে কংগ্রেসের দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল সভাপতি দেবেশ রায় ৭ টি আসনে সিপিএমের সঙ্গে নিচু তলায় কর্মীদের জোট করে শাসকদলকে পরাজিত করে কিছু আসনে জিততে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন, ঠিক সেই সময়ে অপর গোষ্ঠীর নেতারা বাম নয় দক্ষিণ পন্থী দল হিসাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে বিজয়ী করতে পৌরনির্বাচনে সমর্থনের কথা খোলাখুলি ভাবেই জানাল রবিবার।
ইতিমধ্যে কংগ্রেসের বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়াল শাসকদলের হয়ে প্রচারে নেমেছেন। এর পর রবিবারে কংগ্রেসের শিল্পাঞ্চলের শ্রমিক সংগঠনের শীর্ষ নেতারাও শাসকদলকে খোলাখুলি ভাবে সমর্থন জানাল পৌরনির্বাচনে। কংগ্রেসের সমর্থন তৃণমূল ও সিপিএম উভয় দলের কাছে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেল।
উল্লেখ্য, রবিবার দুর্গাপুরে ডিপিএলের কংগ্রেসের শ্রমিক ভবনে দলের শীর্ষ নেতারা যখন পৌর নির্বাচন সংক্রান্ত আলোচনায় ব্যস্ত। তখন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, সাংসদ মমতাজ সংঘমিতা ও দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল সভাপতি উত্তম মুখার্জী তৃণমূলের দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনের জন্য সোজা কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীদের সমর্থনের আর্জি জানান কংগ্রেসের শ্রমিক নেতা বিকাশ ঘটক, উমাপদ দাস ও তরুণ রায়দের কাছে। উভয়ের মধ্যে আলোচনার পর তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের সমর্থনের সিন্ধান্ত নেন কংগ্রেসের নেতারা। এর পরই দুর্গাপুরে রাজনৈতিক চাঞ্চল্য শুরু হয়। অনেকে মনে করছেন শাসকদল বা বিরোধী নয় এখন কংগ্রেসীদের কাছে কংগ্রেসীরাই বড় শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি ও দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল সভাপতিকে টাইট দিতেই দুর্গাপুরের কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে সিপিএম সহ বাম সংগঠনের সঙ্গে দুর্গাপুর বাঁচানোর লড়াই করার পরও পৌরনির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের পরাজয় সুনিশ্চিত করতে শেষমেষ শাসকদলকেই সমর্থন ঘোষণা করল ও অপর গোষ্ঠী সিপিএম-এর সঙ্গে এক নৌকায় চেপেই বৈতরণি পারের সিন্ধান্ত নিল।