দুই রুটের মিনিবাস মালিকদের মধ্যে ফের যাত্রী পরিবহণ নিয়ে বড়সড় সংঘাত শুরু হল দুর্গাপুরে। দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপ বি-জোন রুটে আইকিউ সিটি হাসপাতালটি পড়ে। বি-জোন রুটের মিনিবাসগুলি দীর্ঘ দিন ধরে আইকিউ সিটি হাসপাতাল থেকে যাত্রী পরিষেবা দিচ্ছে। অভিযোগ, এই বি-জোন রুটে হঠাৎ বিধাননগর সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার রোগী ও রোগীর আত্মীয়দের আইকিউ সিটি হাসপাতাল পৌঁছানোর সুবিধার্থে পরিবহণ দফতর পরিবহণ পরিষেবা দিতে তৎপরতা শুরু করতেই বি-জোন রুটের মিনিবাস মালিকরা এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক দফতরের প্রতিবাদ পত্র দেন।
বি-জোন রুটের মিনিবাস মালিক সংগঠনের নেতারা বলেন, আইকিউ সিটি হাসপাতাল শুরুর সময় থেকে বি-জোন রুটের ২৩ টি মিনিবাস ওই এলাকায় পরিষেবা দিয়ে আসছে। আজ হঠাৎ করে এইট-বি রুটের মিনিবাসগুলিকে বি-জোন রুটে ঢুকিয়ে দিলে বি-জোন রুটের মিনিবাস গুলি চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখোমুখি হবে। বি-জোন রুটের মিনিবাস মালিক সংগঠনের নেতাদের দাবি, যদি এইট-বি রুটের মিনিবাসগুলিকে আইকিউ সিটি হাসপাতাল পর্যন্ত বাড়তি রুট অনুমোদন করা হয়। তাহলে বি-জোন রুটের মিনিবাসগুলিকেও বিধাননগর রুটে ঢুকতে দিতে হবে।
শুক্রবার দুর্গাপুরের মহকুমাশাসককে বি-জোন রুটের মিনিবাস মালিক সংগঠনের নেতারা স্বারকলিপি দেন। দুর্গাপুর সাব ডিভিশন মিনিবাস অপারেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অলোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, এমনিতেই লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে মিনিবাস চালানো দায় হয়ে পড়েছে। বি-জোন রুটের মিনিবাসগুলি লোকসানের বোঝা নিয়ে চলছে। তাছাড়া প্রথম থেকেই আইকিউ সিটি হাসপাতাল পর্যন্ত বি-জোন রুটের মিনিবাসগুলিই পরিষেবা দিয়ে আসছে। আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই পরিবহণ দফতর বিধাননগর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দাদের আইকিউ সিটি হাসপাতালে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে প্রায় জোর করেই এইট-বি রুটের মিনিবাসগুলিকে আইকিউ সিটি হাসপাতাল থেকে যাত্রী তোলার অনুমতি দিতে চলেছে। অথচ এইট-বি রুটের মিনিবাসগুলি যথেষ্ট লাভ করে। অলোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, পরিবহণ দফতরের এই দ্বিচারিতার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অথচ বিষয়টি আলোচনা করে করা যেত। পরিবহণ দপ্তরের কর্তারা তা করলেন না। অলোকবাবুর হুমকি, অবিলম্বে পরিবহণ দফতর এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে আমরা বি-জোন রুটের ২৩টি মিনিবাস চালানো বন্ধ করে দেব।
দুর্গাপুর প্যাসেঞ্জার্স ক্যারিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্তা কাজল দাস বলেন, বিষয়টি নিয়ে বেশ জলঘোলা হচ্ছে। আমি উভয় রুটের মালিকদের সঙ্গে মহকুমাশাসক ও পরিবহণ দফতরের কর্তাদের আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান চাইছি। দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক ডা. শ্রীকান্থ পাল্লী বলেন, আমি বিষয়টি দেখছি। তবে অভিযোগকারীরা আমার দফতরে এসে আলোচনা করলে সমস্যার সমাধানের পথ বের হবে।