অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে সোমবার সাত সকালে উতপ্ত হল দুর্গাপুরের বিধান চন্দ্র ইনস্টিটিউশন ফর গার্লস স্কুল চত্ত্বর। অভিভাবকদের বিরুদ্ধে মারধর ও স্কুলের আসবাবপত্র ভাঙচুর করার অভিযোগ করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। অপরদিকে অভিভাবক ও পড়ুয়ারা মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা বলেন, ‘এটা পরিকল্পিত এবং সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ আমাদের বিরুদ্ধে।’ অভিভাবকদের আরও অভিযোগ, হাইকোর্টের রায়কে অমান্য করে স্কুল কর্তৃপক্ষ বাড়তি ফি চাইছে। অভিভাবকরা বলেন, ‘স্কুলের ফি দিতে রাজি কিন্তু কোনোভাবেই বাড়তি ফি দেব না।’ এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে গেল দুর্গাপুরে বিধান চন্দ্র ইনস্টিটিউশন ফর গার্লস স্কুলে।

অভিযোগ, উচ্চ মাধ্যমিকের ফর্ম পূরণের জন্য স্কুল পুরো টাকা চাইছে, আদালতের রায়কে না মেনে অ্যাডমিশন থেকে শুরু করে কম্পিউটার ফি সব চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে এই ফি সিস্টেমে। সোমবার ছাত্রীরা উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য ফর্ম পূরণ করতে গেলে পুরো টাকা চায় স্কুল কর্তৃপক্ষ, এতেই পরিস্থিতি বিগড়ে যায়, অভিবাবকদের সাথে স্কুল কর্তৃপক্ষের বচসা শুরু হয়ে যায়। অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে। স্কুল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এরপর অভিবাবকরা স্কুলের ভেতর ঢুকে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে দেয়, ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ, পুলিশ বেশ কয়েকজন অভিভাবককে আটক করে থানাতে নিয়ে যায়, আর এর পরেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। পুলিশের এই ভূমিকার প্রতিবাদে ছাত্রীরা স্কুলের সামনের সিভি রামন অ্যাভিনিউর রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে দেয়, প্রায় ঘন্টা দুয়েক পর ছাত্রীদের সেই অবরোধ তুলে দেয় পুলিশ।

স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আদালতের নিয়ম মেনেই তারা কাজ করছে, এরপরও অভিবাবকরা ছাড় চাইছে। এটা কিভাবে সম্ভব। সোমবার এই ঘটনার জেরে নিমেষে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে স্কুল চত্বরে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। খবর সংগ্রহ করা পর্যন্ত জানা গেছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হলেও পরিবেশ বেশ থমথমে। স্কুল চত্ত্বরে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। ছাত্রীরা স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের বিরুদ্ধে দুর্ব্যহারের অভিযোগ করে আটক অভিভাবকদের অবিলম্বে ছেড়ে দেবার দাবিতে সরব হয়।

Like Us On Facebook