দুর্গাপুরের সেন্ট্রাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট(সিএমইআরআই) কর্তৃপক্ষের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্য পাচারের অভিযোগে পুলিশ সংস্থার বিজ্ঞানী ড. রুদ্র চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সোমবার দুর্গাপুর আদালতে হাজির করল। ড. রুদ্র চট্টোপাধ্যায়কে দুর্গাপুর পুলিশ দমদম থেকে বাড়ি ফেরার পথে রবিবার রাতে গ্রেফতার করে দুর্গাপুর থানায় নিয়ে আসে। সোমবার সকালে তাঁকে পুলিশ দুর্গাপুর আদালতে হাজির করে।
থানা থেকে আদালতে যাওয়ার পথে অভিযুক্ত বিজ্ঞানী ড। রুদ্র চট্টোপাধ্যায় সিএমইআরআই কর্তৃপক্ষ ও সিএমইআরআই-এর ডিরেক্টর ড. হরিশ হিরানির উদ্দেশ্যে অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি সিএমইআরআই কর্তৃপক্ষ ও সংস্থার ডিরেক্টর ড. হরিশ হিরানির বিভিন্ন আর্থিক দুর্নীতি জেনে ফেলেছি তাই সিএমইআরআই-এর ডিরেক্টর ড. হরিশ হিরানি আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসালো। আমাকে পুলিশ গতকাল রাতে সাক্ষী দিতে হবে বলে নিয়ে এসে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করেছে।’ ড. চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘আমি সিএমইআরআই কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন আর্থিক দুর্নীতি জেনে ফেলেছি তাই আমাকে দুর্গাপুর থেকেও ট্রান্সফার করে দেওয়া হয়েছে। সেই সংক্রান্ত মামলাও চলছে। এরমধ্যেই আমাকে গ্রেফতার করা হল মিথ্যা মামলায়।’
ড. রুদ্র চট্টোপাধ্যায়ের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিএমইআরআই-এর ডিরেক্টর ড. হরিশ হিরানি। ড. হরিশ হিরানি বলেন, ‘ড. রুদ্র চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতার হওয়ার কোন খবর আমার কাছে নেই এখনও পর্যন্ত।’ ড. হরিশ হিরানির দাবি, বেশ কিছুদিন ধরে সিএমইআরআই কার্যালয় থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য পাচার হচ্ছিল। সেই বিষয়ে দুর্গাপুর থানায় নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করা হয়। ড. হরিশ হিরানি বলেন, ‘ড. রুদ্র চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতার হওয়ার বিষয়টি সরকারি ভাবে জানতে পারলে সিএমইআরআই কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’