করোনা সংক্রমিতদের চিকিৎসায় ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন অপরিসীম। করোনা ভাইরাস শ্বাসনালী ও ফুসফুসকে সরাসরি আক্রমণ করে। অনেক ক্ষেত্রে এই সময় রোগীকে প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল সাপোর্ট না দিতে পারলে তাঁর জীবন বাঁচানো কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় চিকিৎসকরা রোগীকে ভেন্টিলেটর ব্যবহার করে চিকিৎসা করছেন। কিন্তু হাসপাতালে ভেন্টিলেটরের অপ্রতুলতা এবং কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ার ফলে পোর্টেবল ভেন্টিলেটরের চাহিদা বাড়ছে। দেশের বিভিন্ন গবেষণামূলক সংস্থা তুলনামূলক কম দামে পোর্টেবল ভেন্টিলেটর তৈরি করছে।
পোর্টেবল ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন মেটাতে কম খরচে এবার ভেন্টিলেটর যন্ত্র তৈরি করল দুর্গাপুরের সেন্ট্রাল মেকানিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট বা সিএমইআরআই-এর বিজ্ঞানীরা। বুধবার সংস্থার পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথা ঘোষণা করেন সিএমইআরআই-এর ডিরেক্টর ডা. হরিশ হীরানি। বুধবার সংস্থার গবেষণাগারে সকলের সামনে মেশিনটির ডেমো দেওয়া হয়। এইসময় উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের চেয়ারম্যান তথা বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অরুণাংশু গাঙ্গুলী। সংস্থার পক্ষ থেকে ডা. হরিশ হিরানি বলেন, এই ভেন্টিলেসন যন্ত্রে রোগীকে আপদকালীন পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন দেওয়া যাবে। ডা. হরিশ হিরানী বলেন ‘বিভিন্ন বিশিষ্ট চিকিৎসক এবং ভেন্টিলেটর বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েই তৈরি করা হয়েছে ভেন্টিলেটরটি। দামও অত্যন্ত কম। মাত্র এক লক্ষ টাকার মতো খরচ হয়েছে মেশিনটি তৈরি করতে।’ ডা. হরিশ হিরানী বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় জরুরি পরিস্থিতিতে এই যন্ত্র চিকিৎসকদের যথেষ্ট সাহায্য করবে।’
সিএমইআরআই-এর বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত ভেন্টিলেটর প্রসঙ্গে বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অরুনাশু গাঙ্গুলী বলেন, ‘এই ভেন্টিলেটরটির প্রথম ট্রায়াল হয় আমার হাসপাতালে।আমরা বারে বারে পরীক্ষা করেছি। মেশিনটির যে সব জায়গায় উন্নতি করার প্রয়োজন আছে বলে আমরা বলেছিলাম, সেগুলো উন্নত করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের হাসপাতালে যে ভেন্টিলেটর রয়েছে সেটি আন্তর্জাতিক মানের যন্ত্র। দুটি ভেন্টিলেটরই আমরা পাশাপাশি ব্যবহার করে দেখেছি দুটির সমস্ত প্যারামিটার সমতুল্য।’