তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলার শ্রমিক সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব কাঁধে নিয়েই দুর্গাপুরের পিসিবিএল পার্কিং জোনের খুন হয়ে যাওয়া কর্মী বিষ্ণু থাপার পরিবারকে বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি আদায় করলেন দুর্গাপুর পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়াল।
শুক্রবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুর সহ গোটা পশ্চিম বর্ধমান জেলার শ্রমিক সংগঠনের অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে শিল্পাঞ্চল পশ্চিম বর্ধমান জেলার শ্রমিক সংগঠনের নতুন কমিটি নিজের হাতে গড়ে দেন। তৃণমূল সুপ্রিমো শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনকে চাঙা করতে নতুন কমিটির সভাপতির দায়িত্ব দেন দুর্গাপুরের লড়াকু শ্রমিক নেতা বিশ্বনাথ পাড়িয়ালকে। পাশাপাশি পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ভি শিবদাশনকে দল ও শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখতে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন।
শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের উপস্থিতিতে পশ্চিম বর্ধমান জেলার শ্রমিক কল্যাণে স্বাধীনভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন বিশ্বনাথবাবুকে। জানা গেছে, এই সময় কথা প্রসঙ্গে বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়াল দুর্গাপুরের পিসিবিএল পার্কিং জোনের খুন হয়ে যাওয়া কর্মী বিষ্ণু থাপার অসহায় পরিবারের আর্থিক অনটনের কথা মুখ্যমন্ত্রীকে বলে বিষ্ণুর পরিবারকে বাঁচাতে একটি চাকরির প্রার্থনা করেন। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছেলে বিষ্ণু থাপা খুন হয়ে যাওয়ার পর বিষ্ণুর পরিবার অনাহারে, অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। বিষ্ণুর মা শোকে বাকরূদ্ধ হয়ে পড়েছেন। সেই সব বাস্তব অবস্থার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানান বিশ্বনাথ পাড়িয়াল।
জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্বনাথ পাড়িয়ালের কাছ থেকে বিষ্ণুর মর্মান্তিক মৃত্যু এবং তারপর তাঁর পরিবারের অসহায় অবস্থার খবর শুনে বিশ্বনাথ পাড়িয়ালের আবেদনে সাড়া দেন। বিশ্বনাথ পাড়িয়ালের কাছ থেকে বিষ্ণুর পরিবারকে চাকরির একটি আবেদন করার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বর্ধমান ডটকমকে বিশ্বনাথ পাড়িয়াল এই খবরের সত্যতা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, আমি এখন হায়দরাবাদ যাচ্ছি। ৪ জুলাই দুর্গাপুরে ফিরেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বিষ্ণুর পরিবারের পক্ষ থেকে চাকরির আবেদন জমা দেওয়ার তৎপরতা শুরু করব।
উল্লেখ্য, ৭ মে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার স্টেশন রোডে একটি পেট্রোল পাম্প লাগোয়া এলাকায় খুন হন পার্কিং জোনের কর্মী বিষ্ণু থাপা (৪০)। এলাকার এক কুখ্যাত তোলাবাজ দীপক সাউ তোলা চেয়ে টাকা না পেয়ে বিষ্ণুকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে খুন করে।