দুর্গাপুরের পলাশডিহার সেন্ট জেভিয়ার্স হাই স্কুলের এক দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রকে খাতা ছেঁড়ার অপরাধে গালে ও কাঁধে পেনের নিব দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠল স্কুলের এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। স্কুলের প্রিন্সিপ্যালকে দেওয়া ছাত্রের অভিভাবকের অভিযোগ পত্র প্রকাশ্যে আসাতেই শিল্পাঞ্চল জুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ মুখে কুলুপ আঁটায় অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।

জানা গেছে, বেনাচিতি নিবেদিতা প্লেসের বাসিন্দা ও দুর্গাপুরের পলাশডিহার সেন্ট জেভিয়ার্স হাই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র অংশু সান‍্যাল স্কুলে ক্লাস চলাকালীন একটি খাতা ছিঁড়ে ফেলে।অংশুর এক বন্ধু ক্লাসের শি়ক্ষিকাকে অভিযোগ করলে ওই শিক্ষিকা অংশুকে শাস্তি দিতে পেন দিয়ে অংশুর কাঁধ ও গালে আঘাত করে বলে অভিযোগ অংশু ও অংশুর পরিবারের। এর পরও শিক্ষিকা তাঁর করা অপরাধ ঢাকতে অংশুর ভাই অংশুকে কাঁধ ও গালে কামড়ে দিয়েছে বলে শিখিয়ে স্কুলের প্রিন্সিপ্যালের কাছে নিয়ে যান বলে অভিযোগ। স্কুল ছুটির পর অংশু বাড়ি ফিরলে অংশুর মা ছেলের গাল ও কাঁধে ক্ষত চিহ্ন দেখে জিজ্ঞাসা করলে অংশু মাকে সব জানায়। এরপর অংশুর বাবা শুভ্রজিৎ সান‍্যাল স্কুলের প্রিন্সিপালকে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এই চিঠি প্রকাশ‍্যে আসতেই দুর্গাপুরে জুড়ে অভিভাবকদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পাশাপাশি দুর্গাপুরের মহকুমাশাসকের কাছেও লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন অংশুর বাবা শুভ্রজিৎ সান‍্যাল।

অংশুর মা সিঞ্জিনী সান‍্যাল বলেন, আমার ছেলে পাঁচ বছর ওই স্কুলে পড়ছে। কোন দিন কিছু অভিযোগ করিনি। আমার ছেলেকে যেভাবে পেন দিয়ে আঘাত করেছ ওই স্কুলের এক শি়ক্ষিকা তাতে আমার ছেলের ব‍্যাথায় জ্বর এসে গেছে। এদিকে অভিযুক্ত শি়ক্ষিকা অংশুর করা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, আসলে অংশু মানসিক ভারসাম্যহীন।

দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা বলেন, আমি অভিযোগ পেয়েছি। স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে ডেকে পাঠিয়েছি। এদিকে ছাত্রকে পেন দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ ওঠায় স্কুল কর্তৃপক্ষ মুখে কুলুপ এঁটেছে।

Like Us On Facebook