কয়লা পাচার কান্ডে ধরপাকড় চলছে গত কয়েকমাস ধরে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের পাশাপাশি রাজ্য সরকারও সিআইডি দিয়ে তদন্ত করছে।কুখ্যাত কয়লা মাফিয়াদের ধরপাকড়ও চলছে। গতকাল রাতে কুখ্যাত অবৈধ কয়লা কারবারকারি অনুপ মাজি ওরফে লালা-র ঘনিষ্ঠ রনধীর সিংকে গ্রেফতার করল সি আই ডি। সিবিআইয়ের পাশাপাশি সিআইডি-ও তদন্ত শুরু করেছিল। ফেব্রুয়ারি মাসের পাঁচ তারিখে সিআইডি-র ডিআইজি অজয় ঠাকুরের নেতৃত্বে দুর্গাপুর-আসানসোলের যে সমস্ত জায়গায় অবৈধ ভাবে কয়লা তোলা হচ্ছিল সেই সব জায়গায় যায় তদন্তের জন্য। মাস খানেক পরে অনুপের ঘনিষ্ঠ রনধীর সিংকে অন্ডাল থানা এলাকার কাজোড়া এরিয়ায় তাঁর বাড়ি থেকে সিআইডি গ্রেফতার করে বলে সূত্রের খবর। আজ রনধীর সিংকে দুর্গাপুর আদালতে তোলা হয়। কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া রনবীর সিংয়ের ১০ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
শনিবার সিআইডি কয়লা ব্যবসার সাথে জড়িত আরও এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয়। দুর্গাপুরের সপ্তর্ষি পার্কে একটি বহুতল আবাসনে এদিন দুপুরে হানা দেয় সিআইডি আধিকারিকরা। এই আবাসনে দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে ব্যবসায়ী জয়দেব খা’র। তবে এদিন ওই দুটি ফ্ল্যাটে কেউই ছিলেন না, ফ্ল্যাট ছিল তালাবন্ধ। সিআইডি আধিকারিকেরা নিরাপত্তারক্ষীর কাছে একটি নোটিশ দিয়ে যান। যে নোটিশে আগামী ১৫ ই মার্চ ভবানী ভবনে সিআইডির দফতরে জয়দেব খাকে দেখা করার নির্দেশ দিয়েছেন সিআইডি আধিকারিকরা। দীর্ঘদিন ধরেই এই ব্যবসায়ী কয়লা কারবারের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ। কিছুদিন আগেই এই ব্যবসায়ী বিজেপিতে যোগদান করেন। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, গতকাল রাতেই লালা ঘনিষ্ঠ রণধীর সিংকে গ্রেফতার করে সিআইডি। তারপরই এদিন দুপুরে আরও এক কয়লা ব্যবসায়ীর বাড়িতে সিআইডির হানায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিল্পাঞ্চলে।