দুর্গাপুরের নবারুণ ক্লাব এবং অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদের পুজোর ভার্চুয়াল উদ্ধোধন করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টায় নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুরের এই দুই অভিজাত ক্লাবের পুজোর উদ্ধোধন করবেন বলে জানা গেছে। মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়াল পুজো উদ্ধোধনের খবর দুর্গাপুরে আসতেই দুর্গাপুরের এই দুই বড় ক্লাব কর্তৃপক্ষ বুধবার রাতের মধ্যে পুজো মণ্ডপ তৈরির কাজ শেষ করতে জোর কদমে কাজ শুরু করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর পুজো উদ্বোধনকে ঘিরে দুই ক্লাবেই এখন সাজ সাজ রব।
দুর্গাপুরের নবারুণ ক্লাব এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে মণ্ডপে খোলা আবহ ধরে রাখতে পুজোর থিম করছে ‘ইন্ডিয়া গেট’। প্লাই, থার্মোকল দিয়ে দুর্গাপুরের রসতকা ডেকরেটার মেদিনীপুরের শিল্পীদের দিয়ে ইন্ডিয়া গেট-এর আদলে মন্ডপ তৈরি করছে। প্রতিমা হচ্ছে সাবেকিয়ানায়। তবে এবার নবারুণ ক্লাবের মন্ডপে দেব-দেবীদের ঝলমলে পোষাকে দেখা যাবে না। জানা গেছে, করোনা আবহে মানুষ গৃহবন্দি, লকডাউন, আনলক পর্ব সহ মানুষের মনকষ্ট ও আর্থিক দুর্ভোগ – এই সমস্ত কারণে দেবী দুর্গা সহ মা লক্ষ্মী ও সরস্বতীকে এখানে অনাড়ম্বর ভাবেই লাল পাড় সাদা শাড়িতেই দেখা যাবে। সেই সঙ্গে মা দুর্গার গোটা পরিবারকেও ম্লান মুখেই দেখা যাবে। প্রতিবছর নবারুণের দুর্গোৎসবে মেলা বসে। তবে প্রশাসনের নির্দেশে ভিড় এড়াতে এবার মেলা বসছে না। নবারুণ পুজো কমিটির পক্ষ থেকে সঞ্জয় পাল বলেন, ‘প্রতিবছর শহরের ঐতিহ্যবাহী নবারুণ ক্লাবের সদস্যরা প্রশাসনের নির্দেশকেই প্রাধান্য দিয়ে পুজো করে আসছে। এবারও সরকারের নির্দেশ মেনে পুজো হবে আমাদের। এবার করোনা মহামারীর কারণে রাজ্য সরকারের নির্দেশকে আমরা কঠোর ভাবে মেনে চলার অঙ্গীকার করেছি। তাই পুজোর বাজেট কাটছাঁট করা হয়েছে। অনাড়ম্বর ভাবে পুজো করছি আমরা।
এবার অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদের পুজোর থিম ‘দুর্যোগে দুর্যোগময়ী’। থিম এর সঙ্গে হচ্ছে সামঞ্জস্যপূর্ণ মন্ডপ। অন্যবারের মতোই মেদিনীপুরের শিল্পীরাই মণ্ডপসজ্জার দায়ীত্বে আছেন। রড ফাইবার দিয়ে মন্ডপ তৈরির কাজ চলছে। মন্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ আলোকসজ্জা করা হচ্ছে। দুর্গাপুরের বিশিষ্ট মৃৎশিল্পী অরুণ পালের হাতে তৈরি মৃন্ময়ী দেবী দুর্গা মন্ডপে পূজিত হবেন। করোনা আবহে দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে পুজোর চারদিন বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি নিয়েছে অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদের উদ্যোক্তারা।