মহকুমা হাসপাতালের কয়েক ঘণ্টা কর্মবিরতি জেরে সাধারণ মানুষকে কতটা ভোগান্তি পোহাতে হয় তার প্রমাণ পাওয়া গেল শনিবার। চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের মারধরের ঘটনায় হাসপাতালে কর্মবিরতির ফলে এক সন্তানসম্ভবা ভিক্ষুক হাসপাতালে ভর্তি হতে না পেরে কার্যত রাস্তায় সন্তান প্রসব করলেন। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের মহকুমা কার্যালয় থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে। দুর্গাপুর মহকুমা এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ কার্যালয়ের নীচে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক অনির্বাণ কোলে অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে ওই ভিক্ষুক মহিলা সহ সদ্যজাত শিশুকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। দুর্গাপুরের মহাকুমাশাসকের এই মানবিকতায় কৃতজ্ঞতা জানান এই মহিলার দিদিমা।
জানা গেছে, সিটি সেন্টারের মহকুমা কার্যালয় সংলগ্ন এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ কার্যালয়ের নীচে বসবাসকারী ভিক্ষুক পরিবারের এক সন্তানসম্ভবা মহিলার প্রসব যন্ত্রনা উঠলে শনিবার দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করতে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ, হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের কর্মবিরতি থাকায় ওই সন্তানসম্ভবা মহিলাকে ভর্তি করানো যায়নি মহকুমা হাসপাতালে। এরপরেই প্রসব যন্ত্রনায় কাতর ওই মহিলা এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জের নীচে স্থানীয় এক মহিলার সাহায্যে সন্তান প্রসব করেন। এই খবর মহকুমাশাসক অনির্বাণ কোলের কানে পৌঁছতেই মহকুমাশাসক অনির্বাণ কোলে তড়িঘড়ি অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে মহিলা ও সদ্যজাত শিশুকে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করেন। দুর্গাপুরে মহকুমাশাসক অনির্বাণ কোলে বলেন, ‘আমরা মানুষের জন্য কাজ করছি। আমি যখন খবর পাই সঙ্গে সঙ্গে ওই মহিলা ও সদ্যজাত শিশুকে অ্যাম্বুলেন্সে করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করাই।’ মহকুমাশাসক জানান মা ও শিশু দু’জনেই ভালো আছে।