হাতির উপর কড়া নজরদারি ও বনদফতরের কাজে গতি আনতে চারটি সিসিএফ অর্থাৎ চিফ কনজারভেটর অফ ফরেস্ট কার্যালয়কে জেলায় স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। চারটির মধ্যে তিনটি সিসিএফ কার্যালয় পশ্চিম বর্ধমান জেলায় আনা হচ্ছে। সিসিএফ সাউথ-ওয়েস্ট সার্কেলের কার্যালয় আসানসোলে এবং সাউথ-ইস্ট ও সেন্ট্রাল কার্যালয় দুর্গাপুরে হবে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গেছে।
আসানসোলে বনদফতরের নিজস্ব জমি না থাকায় আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের জমিতে বনদফতরের কার্যালয় গড়ে তোলা হবে। আর দুর্গাপুরে বনদফতরের স্টিল পার্ক এলাকায় নিজস্ব জমি থাকায় সেখনেই সিসিএফ কার্যালয় সহ বনদফতরের কর্মীদের জন্য আবাসনও গড়ে তোলা হবে বলে জানা গেছে। জানা গেছে, দুর্গাপুরের গান্ধী মোড়ের আইটি পার্কে অস্থায়ী ভাবে সাউথ-ইস্ট ও সেন্ট্রাল সিসিএফ কার্যালয় শীঘ্রই কাজ শুরু করবে।
দুর্গাপুরে বৃহস্পতিবার রাজ্য বনদফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব ইন্দীবর পান্ডে ও বনরক্ষী প্রধান নরেন্দ্র কুমার পান্ডে সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত হয়। জানা গেছে, জেলাতে জঙ্গল থেকে হাতি বের হলে এতদিন কলকাতার বনদফতরের মুখ্য কার্যালয়ের উপর নির্ভরশীল থাকতে হত কোন সিদ্ধান্ত নিতে। এতে সময় বিলম্বিত হবার ফলে বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যাচ্ছিল। তাই সিসিএফ কার্যালয় জেলাতে আনার সিদ্ধান্ত বলে জানান দুর্গাপুরের মুখ্য বনপাল মিলন কান্তি মন্ডল।