৩১ মার্চের মেগা ডিসকাউন্টে বিক্রিত দু’চাকার যান নিয়ে পরিবহণ দপ্তরের নাজেহাল অবস্থা। রেজিস্ট্রেশনকে কেন্দ্র করে জট বেধেছে পরিবহণ দপ্তরে। উল্লেখ্য, ১ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে ভারত স্টেজ-৩ (BS-III) গাড়ির বিক্রি ও রেজিস্ট্রেশনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের এই রায় ঘোষণার পরই অধিকাংশ দু’চাকার গাড়ি সংস্থা স্টক ক্লিয়ারেন্সের জন্য ৫ থেকে ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় ঘোষণা করেছিল। ক্রেতারা মহা উৎসাহে সেলে গাড়ি কিনে ঘোর বিপাকে পড়েছেন সঠিক সময়ে রেজিস্ট্রেশন করাতে না পেরে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিবহণ দপ্তরে রেজিস্ট্রেশন না করাতে পেরে ক্রেতারা যেমন গাড়ি যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করতে পারছেন না তেমনি লেটফাইনের আশঙ্কায় দিন গুনছেন অনেকেই। একই ভাবে গাড়ির ডিলাররাও ক্রেতাদের গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সঠিক সময়ে করাতে না পেরে এক দিকে লেটফাইন গোনার ও লোকসানের আশঙ্কায় অন্যদিকে শোরুমে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রত্যেক দিন বচসায় জড়িয়ে এখন ডিলারদেরও মাথায় হাত। জানা গেছে, সার্ভার স্লো থাকায় অনেক গাড়ির বিক্রি লিপিবদ্ধকরণ ও বিমাকরণ সঠিক সময়ে করা যায় নি। দুর্গাপুর পরিবহণ দপ্তরে দৈনন্দিন মাত্র ১০ টি করে গাড়ি লিপিবদ্ধকরণ হওয়ায় ৩১ মার্চের বিক্রিত কয়েক হাজার দুই চাকা যানের রেজিস্ট্রেশন জমতে শুরু করে।

দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী ৩১ মার্চের বিক্রিত প্রায় ৬৫০০ মত দুই চাকার যানের রেজিস্ট্রেশন আটকে যায় কেবল মাত্র সার্ভার স্লো থাকায় ও সিস্টেম অনুযায়ী প্রতিদিন মাত্র ১০ টি করে অনলাইনে লিপিবদ্ধকরণ হওয়ায়। এতে ক্ষোভ বাড়তে থাকে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের মধ্যে। শুক্রবার প্রশাসন থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী দুর্গাপুর মহকুমা শাসকের হস্তক্ষেপে জট ছাড়াতে সোমবার বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে দুর্গাপুর মহকুমা কার্য্যালয়। দুর্গাপুর মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা বর্ধমান ডট কম কে বলেন, ‘সিস্টেম স্লো ও প্রতিদিন মাত্র ১০ টি করে লিপিবদ্ধকরণ হওয়ায় একটা জটিলতা তৈরি হয়েছে। ৩১ মার্চের বিক্রিত প্রায় ৬৫০০ মত গাড়ির রেজিস্ট্রেশন আটকে গেছে। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, লেটফাইন ছাড়াই গাড়িগুলির রেজিস্ট্রেশনের চেষ্টা করা হচ্ছে।’

Like Us On Facebook