দুই সহকর্মীর মধ্যে মনোমালিন্য। তার থেকে অপহরণের ঘটনায় চাঞ্চল্য দুর্গাপুরে। যদিও পুলিশ অপহরণকারীদের গ্রেফতার করেছে পূর্ব বর্ধমান থেকে। শনিবার অভিযুক্তদের আদালতে হাজির করা হয়। জানা গেছে, মেডিকেলে ভর্তির কনসালটেন্সি খুলে দুর্গাপুরের মুচিপাড়াতে একটি বিলাসবহুল হোটেলে থাকতো পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা ধ্রুবজ্যোতি চৌধুরী ও বরাকরের বাসিন্দা অজিতেশ মন্ডল। এদের মধ্যে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কোন দ্বন্দ্বের কারণে অপহরণের অভিযোগ ওঠে ধ্রুবজ্যোতি চৌধুরীর বিরুদ্ধে। কাঁকসা থানার পুলিশ এই ঘটনায় ধ্রুবজ্যোতি চৌধুরী, সুমন সাহা ও ভুবন গোস্বামী নামে তিন জনকে গ্রেফতার করে শনিবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে হাজির করে।

ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা নাগাদ। মুচিপাড়ার একটি বিলাসবহুল হোটেলে ঢোকেনি ধ্রুবজ্যোতি চৌধুরী, হোটেলের ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসা করেন অজিতেশ মন্ডল কোথায়? কিছু বুঝে ওঠার আগেই হোটেলের ভিতরে থাকা অজিতেশ মন্ডলকে ধ্রুবজ্যোতি চৌধুরীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী হোটেল থেকে বের করে একটি ইনোভা গাড়িতে তোলে। এবং একই গাড়িতে ওঠেন অভিযুক্ত ধ্রুবজ্যোতি চৌধুরী। অপহরণের খবর পেয়ে কাঁকসা থানার পুলিশ জাতীয় সড়ক ধরে ইনোভা গাড়ির পিছু পিছু ধাওয়া করে বর্ধমানে আটকায় ইনোভা গাড়িটিকে। উদ্ধার করে অজিতেশ মন্ডলকে। এবং অজিতেশের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত ধ্রুবজ্যোতি, তাঁর নিরাপত্তারক্ষী এবং ইনোভা গাড়ির চালক ভুবন গোস্বামীকে গ্রেফতার করে। এর মধ্যে সুমন সাহা অভিযুক্ত ধ্রুবজ্যোতির ব্যক্তগত নিরাপত্তারক্ষী আর ভুবন গোস্বামী দুর্গাপুরের করঙ্গপাড়ার বাসিন্দা, গাড়ির চালক। পুলিশ অভিযুক্ত তিন জনকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলে শনিবার। আরও দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার রাতেই পুলিশ আটক করেছে বলে সূত্র মারফৎ জানা গেছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিবাদ থেকেই এই অপহরণের ঘটনা। কাঁকসা থানার পুলিশ এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে।

Like Us On Facebook