জাতীয় সড়কের ধার থেকে পলিথিনে মোড়া নাবালকের দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল মেমারির পালসিট এলাকায়। খবর পেয়ে মেমারি থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠায়। পুলিশ ও মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মৃতের নাম দেবদাস মান্ডি(১৭)। বাড়ি হুগলির দিগসুই গ্রামে। কর্মসূত্রে দেবদাস মান্ডি গুজরাটের রাজকোট এলাকায় থাকত। সেখানেই জনৈক ফিরোজ নামে এক ব্যক্তির সিটিগোল্ড কারখানায় দেবদাস কাজ করত।
পরিবারের অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার দেবদাস মান্ডি মারা গেছে বলে তাঁদের ফোন করা হয়। এমনকি দেহ বাড়িতে পাঠানো হচ্ছে বলেও জানানো হয়। কিন্তু গত ৩ দিন ধরে দেহ নিয়ে লুকোচুরি চলতে থাকে। পরিবারের তরফে বারংবার ফোন করে অবস্থান জানতে চাইলে এক এক সময় এক এক জায়গার কথা তাঁদের জানানো হয় বলে অভিযোগ। এরপর পরিবার হুগলির মগরা থানার দ্বারস্থ হয়। তারপর থেকেই গুজরাট থেকে আসা গাড়ির সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর রবিবার পালসিট এলাকায় ১৯ নং জাতীয় সড়কের ধার থেকে পলিথিনে মোড়া অবস্থায় দেবদাস মান্ডির দেহ উদ্ধার করে মেমারি থানার পুলিশ।
পরিবারের অভিযোগ, গত ৪ মাস ধরে দেবদাস মান্ডিকে কোন টাকা পয়সা দেওয়া হচ্ছিল না। এমনকি বাড়িতে ফোনও করতে দেওয়া হচ্ছিল না। দেবদাসকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান পরিবারের। কোন বৈধ কাগজপত্র ছিল না বলেই গুজরাট থেকে আসা গাড়ি দেহ ফেলে চম্পট দিয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ। সামগ্রিক ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মেমারি থানার পুলিশ।