ফের দুর্গাপুরের বীরভানপুর মহাশ্মশানের কাছে দামোদর ফিডার ক্যানেলের সেতুর নীচে মিলল এক ব্যক্তির দেহ। মাস দুয়েক আগে দুই বাইক আরোহী শ্মশানে দাহ কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে এই ক্যানেলের সেতুর ভাঙা রেলিং গলে বাইক সহ জলে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল। প্রশাসনিক আধিকারিকরা বারবার সেতু পরিদর্শন করলেও সেই সেতু মেরামতের কোন উদ্যোগ এখনও নেওয়া হয় নি। ফের সেতুর নীচে ক্যানেলের জলে দেহ উদ্ধার হওয়ার স্থানীয় মানুষজন সেতুর ভাঙা রেলিং গলে ক্যানেলের জলে পড়ে গিয়েই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
শুক্রবার সকালে বীরভানপুরের বাসিন্দারা এই ক্যানেলের জলে একটি দেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে। জানা গেছে, মৃতদেহটি কোকওভেন থানার অন্তর্গত বণিক মোড়ের বাসিন্দা ওম প্রকাশ নামের এক ব্যক্তির। ওম প্রকাশ কয়েক দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। পরিবারের লোকজন স্থানীয় কোকওভেন থানায় এই মর্মে একটি নিখোঁজ ডায়েরিও করেছিলেন। শুক্রবার সকালে বীরভানপুর মহাশ্মশানে যাওয়ার পথে ফিডার ক্যানেলের জলে একটি অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ দেখে স্থানীয় মানুষ কোকওভেন থানায় খবর দিলে পুলিশ মৃতদেহটি সনাক্ত করে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
এদিকে এই ফিডার ক্যানেলের সেতুর ভাঙা রেলিং গলে গত দু মাসে তিন জনের মৃত্যুতে এলাকার বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, দুর্গাপুরের এই মহাশ্মশানে প্রচুর মানুষ আসেন শবদাহ করতে। গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তায় এই ভাঙা সেতুটি রয়েছে। গত দুমাস আগে দুই বাইক আরোহীর মৃত্যুর পর সেচ দফতরের আধিকারিকরা ও দুর্গাপুর পুরসভার মেয়র স্বয়ং দিলীপ আগস্তি এই ভাঙা সেতু পরিদর্শনকালে আপদকালীন ভিত্তিতে সেতু সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেন। সেই মতো সেতুর ভাঙা রেলিংয়ের অংশটি বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। পরবর্তী দুই মাসে সেই বাঁশের বেড়াও উধাও হয়ে যায় এবং সেই সংস্কারের কাজও বিশ বাঁও জলে। স্থানীয় মানুষ অবিলম্বে জরুরি ভিত্তিতে এই ভাঙা সেতু সংস্কারের দাবিতে শুক্রবার সকালে সোচ্চার হন।