হঠাৎ প্রবল বিস্ফোরণ কেঁপে উঠল দুর্গাপুরের ডিপিএল কারখানার ৭ নং ইউনিট সংলগ্ন এলাকা। মঙ্গলবার সকালে বড়সড় বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্গাপুরের ডিপিএল কারখানার ভিতরে কর্মরত অবস্থায় এক ঠিকা কর্মীর মৃত্যু হল। মৃত কর্মীর নাম ওমপ্রকাশ চৌহান (৩৮) এবং একজন গুরুতর জখম হয়। জখম শ্রমিকের নাম বাম রুইদাস (৩৯)। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কোক ওভেন থানার পুলিশ এবং দমকল বাহিনীর কর্মীরা। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় এবং আহত ঠিকা কর্মীকে কোক ওভেন থানার পুলিশ তড়িঘড়ি দুর্গাপুরের বিধান নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেড কারখানার পাওয়ার প্লান্টের জিএম গোপীনাথ মাজি এই বিষ্ফোরণের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘প্রবল আওয়াজে প্ল্যান্টের ভিতর বাগানের সামনে বিস্ফোরণ ঘটে এতে গাছের পাতা পড়েনি, গাছ ঝলসে যায়নি, কিন্তু দু’জন ঠিকা কর্মীর একজনের দেহ ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যায় এবং অন্যজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এটা অত্যন্ত সন্দেহজনক বিষয়। এটি কোনভাবেই ডিপিএলের ইলেকট্রিক্যাল বা যন্ত্রপাতি সংক্রান্ত বিস্ফোরণ নয়। মনে হচ্ছে শক্তিশালী কোন বিস্ফোরক থেকেই এই বিস্ফোরণ। এর আসল সত্য তদন্ত করে দেখা উচিত।’
এদিকে স্থানীয় বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়ালও এই বিস্ফোরণ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি করে জানান, ডিপিএলের নিরাপত্তা ব্যবস্থার গাফিলতি রয়েছে। কিভাবে নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে এই রকম ঘটনা ঘটল? ডিপিএলের নিরাপত্তা ব্যবস্থার গাফিলতি রয়েছে এটা মানতেই হবে। এর আসল সত্য উন্মোচন করতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করতে হবে।
ডিপিএলের ঠিকা কর্মী নয়ন মালাকার জানান, মৃত এবং আহত দু’জনেই ডিপিএলের ঠিকা নিরাপত্তা কর্মী। স্থানীয় ৩১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ঘটনার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থার গাফিলতি রয়েছে বলে দাবি করে ডিপিএলের কর্মীরাও এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি করেন।