সোমবার রাতে বিজেপি কর্মীদের বিজয় মিছিল চলাকালীন দুর্গাপুরের স্টিল টাউনশিপ হস্টেল অ্যাভিনিউর তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয় বিজেপি কর্মীরা ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ ওঠে। কার্যালয় ভাঙচুরের খবর পেয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার নবনিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কর্মীদের নিয়ে স্টিল টাউনশিপের হস্টেল অ্যাভিনিউ ও ট্রাঙ্ক রোডের বিজেপি সমর্থিত দুটি ক্লাবে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ করে বিজেপি কর্মীরা।

হস্টেল অ্যাভিনিউর তৃণমূল কার্যালয়ে ভাঙচুরের পর সোমবার রাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে জিতেন্দ্র তিওয়ারি দোষী বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার না করলে তৃণমূল কর্মীরা পাল্টা ব্যবস্থা নেবে বলে হুঁশিয়ারি দেন দুর্গাপুর থানার ওসি গৌতম তালুকদারকে। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, এরপরেই বিজেপি সমর্থিত দুটি ক্লাবে ব্যাপক ভাঙচুর করে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা।

তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগে পুলিশ তিনজন বিজেপি কর্মীকে আটক করে। বিজেপি সমর্থিত ক্লাবে ভাঙচুর ও তিনজন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুর্গাপুরের স্টিল টাউনশিপ হস্টেল অ্যাভিনিউ থেকে এ-জোন ফাঁড়ি পর্যন্ত বিজেপি কর্মীরা প্রতিবাদ মিছিল করে পাল্টা পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে গ্রেফতারের দাবিতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে এ-জোন ফাঁড়ি ঘেরাও করে। বেশ কিছুক্ষণ ঘেরাও চলার পর পুলিশি আশ্বাসে ঘেরাও উঠে যায়।

পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিজেপি সভাপতি লক্ষণ ঘড়ুই বলেন, ‘জিতেন্দ্র তিওয়ারি যেভাবে বিজেপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করল, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও এভাবে দুর্গাপুরকে অশান্ত করার চক্রান্ত করেছিল জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ফল পেয়েছে লোকসভা নির্বাচনে। ৯ টা বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেসের হাতছাড়া হয়েছে। আবার সেই জিতেন্দ্র তিওয়ারি মাফিয়াদের দুর্গাপুরে এনে দুর্গাপুরকে অশান্ত করার চক্রান্ত করছে। আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেসকে এর ফল ভোগ করতে হবে।’ এদিকে, একদিকে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব অপরদিকে বিজেপি নেতৃত্ব উভয়েই চাপ তৈরি করায় পুলিশের কার্যত দিশাহারা অবস্থা।


Like Us On Facebook