বিজেপি কর্মী সন্দীপ ঘোষ খুনের প্রতিবাদে বিজেপির ডাকা দুর্গাপুর মহকুমা বনধে মঙ্গলবার তেমন কোন প্রভাব পড়ল না শিল্প শহর দুর্গাপুর ও পানাগড়ে। স্বাভাবিক ছিল ট্রেন ও বাস চলাচল। সমস্ত স্কুল কলেজে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির হার ছিল স্বাভাবিক। অফিস-কাছারিতে অন্যদিনের মতোই স্বাভাবিক ছিল উপস্থিতির হার। দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা সহ সমস্ত কলকারখানায় শ্রমিকদের উপস্থিতির হার ছিল স্বাভাবিক এবং উৎপাদনও স্বাভাবিক হারেই হয়। দুর্গাপুর রেলস্টেশনে অন্যদিনের মতোই যথারীতি ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। কোথাও সে ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি বনধ সমর্থক বিজেপি কর্মীরা।
উল্লেখ্য, রবিবার রাতে কাঁকসার মলানদিঘির সরস্বতীগঞ্জে দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন বিজেপির রূপগঞ্জ বুথ কমিটির সভাপতি সন্দীপ ঘোষ। আহত হন জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে আর এক বিজেপি কর্মী। সন্দীপের মৃতদেহ নিয়ে সন্দীপের খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে মুচিপাড়ায় পথ অবরোধ করেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় ও রাজ্য নেতা সায়ন্তন বসু। বিজেপির দুই রাজ্য নেতৃত্ব সোমবার মুচিপাড়ায় জাতীয় সড়ক অবরোধ করার সময় সন্দীপ ঘোষ খুনের অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মঙ্গলবার ১২ ঘন্টার দুর্গাপুর মহকুমা বনধের ডাক দেন। সন্ধ্যায় খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে কাঁকসা থানায় অবস্থান বিক্ষোভে বসেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। কিন্তু বিজেপির ডাকা দুর্গাপুর মহকুমা বনধে সন্দীপ ঘোষের বাড়ি মলানদিঘি এলাকা ছাড়া দুর্গাপুরের অন্য কোথাও সেভাবে কোন প্রভাব পড়ল না।
এদিকে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকরা বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে সন্দীপ ঘোষ খুনের তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে। যদিও অভিযুক্তরা নিজেদের সন্দীপ ঘোষ খুনের সঙ্গে জড়িত নন বলে দাবি করেন। এদিন সুকুমার সাহা, জাহিরুল মিদ্যা ও কিরণ নামে তিন অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে হাজির করে বলে জানান দুর্গাপুরের ডিসিপি অভিষেক মোদী। এদিকে সন্দীপ খুনে বিজেপির দায়ের করা অভিযোগের মূল অভিযুক্ত শেখ সাইফুল এখনও অধরা। পুলিশ জানিয়েছে বাকি অভিযুক্তদের ধরতে জোর তল্লাশি চলছে।