সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে দুর্গাপুর পশ্চিম বিধান সভা কেন্দ্রের কংগ্রেস বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়াল সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিয়ে দুর্গাপুরের দুটি জ্বলন্ত সমস্যা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রশাসনিক বৈঠকে তুলে ধরলেন। প্রশাসনিক বৈঠকে এদিন মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিম বর্ধমান জেলার সমস্ত এলাকার বিভিন্ন পুলিশ আধিকারিক ও প্রশাসনিক আধিকারিক, আসানসোল ও দুর্গাপুরের দুই মেয়রসহ দলের বিধায়ক সাংসদদের এলাকার উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কি সাহায্যের প্রয়োজন জানতে চাইলে দুর্গাপুরের মেয়র দীলিপ অগস্তি সহ সকলেই নিজ নিজ এলাকা নিয়ে় উন্নয়নের কাজ যে সঠিক পথে অগ্রগতি হচ্ছে সেই গুনগান করেন। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিজেদের বিভিন্ন দুর্বলতা ঢাকতে কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন উন্নয়নে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে বলে দাবি করেন।
এরপরেই সভার প্রায় শেষ ভাগে দুর্গাপুরের বিধায়কের কিছু বলার আছে কিনা মুখ্যমন্ত্রী জানতে চাইলে বিশ্বনাথ পাড়িয়াল চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে দুর্গাপুরের তামলা নালার সংস্কার ও স্টিল টাউনশিপের ড্রেনের জল দামোদরে যাওয়ার পথে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ নিকাশি নালার মুখ বন্ধ করে দেওয়ায় বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে এবং এর ফলে সন্নিহিত অঞ্চলে বর্ষায় মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে বলে জানান। মুখ্যমন্ত্রী দুটি বিষয়ই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের দেখার আশ্বাস দেন এদিন।
২০১২ সালের পৌরসভা নির্বাচনের সময় থেকে দুর্গাপুরের তৎকালীন মেয়র অপূর্ব মুখার্জীর সঙ্গে অসন্তোষ থেকে গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় দলত্যাগ ও দলনেত্রীর ভৎসনার পর বিধানসভা নির্বাচনে অপূর্ব মুখার্জীকে পরাজিত করার পর বিজয়ী বিধায়ক বিশ্বনাথের ফের দলনেত্রীর সুনজরে আসা এইসব বিস্তর জল গড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাঁকসার প্রশাসনিক বৈঠকেও বিশ্বনাথকে দেখা যায় নি। সেই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনাও শুরু হয়। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিয়ে এলাকার দুটি সমস্যার কথা জানিয়ে বিতর্কিত বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়াল নিজেকে দলনেত্রীর অনুগত সৈনিক বলে ফের প্রমাণ করে একদিকে এলাকার মানুষের সমস্যা অপরদিকে সব জল্পনার অবসান ঘটালেন।