বীরভূমের খয়রাশোলে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি দীপক ঘোষ মারা গেলেন দুর্গাপুরের মিশন হাসপাতালে। রবিবার খয়রাশোলে বাড়ি থেকে বের হয়ে দীপকবাবু এক সহকর্মীর সঙ্গে বাইকে এক ফুটবল টুর্নামেন্ট দেখতে যাওয়ার সময় দুষ্কৃতীরা পথ আটকে দীপক ঘোষকে গুলি করে এবং চপার দিয়ে কুপিয়ে চম্পট দেয়। দীপকবাবু সঙ্গে সঙ্গে লুটিয়ে পড়েন। সহকর্মী বাইক আরোহী ও স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা পুলিশে খবর দিয়ে তড়িঘড়ি রক্তাক্ত দীপক ঘোষকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ও পরে দুর্গাপুরের মিশন হাসপাতাল নিয়ে এসে ভর্তি করেন। রবিবার দীপকবাবুকে মিশন হাসপাতালের চিকিৎসকরা গভীর রাত পর্যন্ত বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন। শেষমেশ চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে দীপকবাবু মারা যান। দীপকবাবুর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই বীরভূম থেকে শাসকদলের কর্মীরা ছুটে আসেন মিশন হাসপাতালে। মিশন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়।
এদিকে খয়রাশোলের তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক সভাপতি দীপক ঘোষের মর্মান্তিক মৃত্যুর জন্য অনেকেই বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে দায়ী করছেন। যদিও তৃণমূলের বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এই ঘটনায় বিজেপিকে দায়ী করেছেন। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূমের এক বিধায়ক নরেশ বাউরি মিশন হাসপাতালে দাঁড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করেছেন। বিধায়ক নরেশ বাউরির দাবি, দুষ্কৃতীদের কোন জাত, ধর্ম, বর্ণ থাকে না। তারা সুযোগ বুঝে এই নির্মম কান্ড ঘটিয়েছে। পুলিশ দুষ্কৃতীদের ধরার চেষ্টা করছে।
অন্যদিকে দীপক ঘোষের মৃত্যুর খবর পেয়ে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ছুটে যান পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখার্জি ও দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র দিলীপ আগস্তি সহ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ববৃন্দ। তাঁরা সকলেই মৃত দীপক ঘোষের মৃতদেহে মাল্যদান করেন।