কাঁকসার গোপালপুর গ্রামে এখনও শোনা যায় ভাদু গান। ভাদু পুজো কবে শুরু হয়েছিল তা কারোর জানা নেই। তবে গত ১০০ বছর ধরে কাঁকসার গোপালপুরে মাল পাড়ার বাসিন্দারা প্রাচীন এই রীতি ও সংস্কৃতিকে ধরে রেখেছেন। ভাদ্র মাস উপলক্ষ্যে ভাদু পুজোর আয়োজন করেছিলেন মাল পাড়ার বাসিন্দারা। মূর্তি এনে নিত্যদিন পুজো দেওয়ার পাশাপাশি সন্ধ্যা হলেই চলতো ভাদু গানের সাথে নৃত্য। প্রাচীন কালের সেই রীতি আজও একই ভাবে চলে আসছে এখানে। রবিবার ভাদুকে নিয়ে এলাকা পরিক্রমায় বের হন মাল পাড়ার বাসিন্দারা। ছোট ছোট কিশোরীদের সাজিয়ে ভাদুকে নিয়ে নাচতে নাচতে গ্রাম প্রদক্ষিণ করেন এলাকার বাসিন্দারা। সাথে চলে প্রাচীন সুরে ভাদু বিদায়ের গান।
ভাদ্র মাসের প্রথম দিন থেকেই ভাদু পুজোর সূচনা হয়। এদিন ভাদুর আগমনী গান গেয়ে বাড়িতে ভাদুর মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে প্রতিদিন সন্ধ্যায় ফলমূল নিবেদন করা হয়। সারা মাস ধরে চলে ভাদু পুজো। মাসের শেষে সংক্রান্তিতে ভাদুর মূর্তি বিসর্জন দেওয়া হয়। ভাদুর বিসর্জনের আগের দিন থেকেই বিদায়ের সুর বেজে ওঠে। ভাদুকে ফুলে চন্দনে, মালায়, নানা রঙের কাগজ দিয়ে সাজিয়ে দোলার মতো করে সেটি কলা গাছের বা সোলার ভেলার উপরে বসিয়ে সংক্রান্তির দিনে ভাসিয়ে দেওয়া হয় নদীতে বা পুকুরে। আর তখনই চোখের জলে বিদায় জানানো হয় কন্যা রূপী ভাদু মা’কে।