করোনা মোকাবিলায় লকডাউন ঘোষণার প্রথম দিন থেকেই ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মানছিলেন না। সবজি বাজার সরানো হলেও মাছের বাজার একই জায়গায় ছিল এতদিন ধরে। লকডাউনে দক্ষিণের মাছের জোগান কমতেই জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকাল মাছের ব্যপারীদের ভিড় ক্রমেই বাড়ছিল। বাজারে ভিড় বাড়তেই করোনা আতঙ্কও বাড়ছিল। পুলিশ প্রশাসনের এটাই মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়ছিল। ঝুঁকি নিয়েই এতদিন চলছিল মাছের বাজার। শেষমেশ বেনাচিতির মাছের বাজারের মাছের আড়তদাররা শুক্রবার থেকে ৩ মে পর্যন্ত বেনাচিতি বাজারে মাছের আড়ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন।
শুক্রবার সকালে বেনাচিতি বাজারে কোন মাছের গাড়ি ঢোকেনি বলেই জানা গেছে। মাছের দোকান গুলিও ফাঁকা। দুর্গাপুর পুরসভার ২ নং বরো চেয়ারম্যান রমাপ্রসাদ হালদার বলেন, ‘বেনাচিতি বাজারে মাছের আড়ত গুলিতে জেলা ছাড়িয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মাছের ক্রেতা-বিক্রেতাদের প্রচুর ভিড় জমছিল প্রতিদিন ভোর থেকে। সেটা ভয়ের কারণ হয়ে উঠছিল। তাই বেনাচিতি বাজারের মাছের আড়তদাররা সংক্রমণ এড়াতে স্বেচ্ছায় নিজেদের মাছের আড়ত ৩ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। আমি একটা বিকল্প সিদ্ধান্ত দিয়েছি মাছের আড়তদারদের। প্রয়োজনে বেনাচিতির মাছের বাজারে না বসে প্রান্তিকার জগদ্ধাত্রী পুজোর মেলার মাঠে মাছের দোকান দিতে পারেন আড়তদাররা। কিন্তু সেই বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয় নি।’