স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের পঠনপাঠন বন্ধ রেখে প্রাথমিক শিক্ষকদের বিএলও এবং ডিও করাচ্ছে সরকার। ভোটার তালিকা সংশোধন থেকে ভোটার তালিকায় নাম তোলা থেকে মিড-ডে মিল, ছাত্র-ছাত্রীদের আয়রণ ট‍্যাবলেট খাওয়ানো এখন সব কিছুরই দায়িত্ব প্রাথমিক শিক্ষক দের। স্কুলে পঠনপাঠন বন্ধ রেখে প্রাথমিক শিক্ষকদের বিএলও এবং ডিও ডিউটি করানোর প্রতিবাদে সোমবার আসানসোল ও দুর্গাপুরের মহকুমা শাসকের কাছে বঙ্গীয় নব উন্মেষ প্রাথমিক শিক্ষক সংঘের সদস্যরা ডেপুটেশন দিলেন।

বঙ্গীয় নব উন্মেষ প্রাথমিক শিক্ষক সংঘের জেলা সম্পাদক চিরঞ্জিত ধীবর বলেন, শিক্ষার স্বার্থে শিক্ষকরা স্কুলে নিযুক্ত হন। কিন্তু বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষকদের স্কুলের পঠনপাঠন বন্ধ রেখে প্রশাসনের নির্দেশে বিএলও এবং ডিও করতেই বেশি সময় দিতে হচ্ছে। কম শিক্ষক থাকায় কোন কোন স্কুলে পঠনপাঠন শিকেয় ওঠে। এবার ডিওর কাজে দুই মাস ডিউটি দেওয়া হয়েছে শিক্ষকদের। ফের স্কুলে পঠনপাঠন ব‍্যাহত হবে। তার প্রতিবাদে আমরা আজ আসানসোল ও দুর্গাপুরে মহকুমাশাসকদের কাছে সিস্টেম বদলের জন্য ডেপুটেশন দিলাম। চিরঞ্জিতবাবুর দাবি, মহকুমাশাসক বলেছেন যে এখনই সিস্টেম বদল সম্ভব নয়। তবে যে সব স্কুলে শিক্ষক কম রয়েছে সেই সব স্কুলের একটি নামের তালিকা নিজেদের প‍্যাডে লিখে মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে জমা দিতে বলেছেন।

Like Us On Facebook