প্রধানমন্ত্রীর জনসভার প্রস্তুতি পর্ব খতিয়ে দেখতে সোমবার বিকেলে দুর্গাপুরের নেহেরু স্টেডিয়াম ঘুরে গেলেন বিজেপির কেন্দ্র ও রাজ্য নেতৃবৃন্দের এক প্রতিনিধি দল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়, বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা, কেন্দ্র ও রাজ্য নেতৃত্ব যৌথ ভাবে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থল ঘুরে দেখেন।
এদিন উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে রাহুল সিনহা বলেন, ‘পুলিশ ও প্রশাসন যতই অসহযোগিতা করুক ২ ফেব্রুয়ারি যেকোন পরিস্থিতিতেই ঠাকুরনগর ও দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভা হবে। স্বাধীনতার পর এই প্রথম কোন মুখ্যমন্ত্রী যিনি প্রধানমন্ত্রীর জনসভার সভাস্থলের অনুমতি ও হেলিকপ্টার নামা সহ বিভিন্ন ছোট ছোট বিষয়ে ইস্যু করে নোংরা রাজনীতি করছেন।’ রাহুল সিনহার দাবি, পুলিশ প্রশাসন যতই অসহযোগিতা করুক মানুষের অন্তরে মোদীজী আছেন যেমনটা হনুমানজীর বুকে রাম-সীতা ছিলেন। তাই ২ ফেব্রুয়ারি দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় লোক ধারণের জায়গা থাকবে না। রাহুল সিনহার দাবি, সেদিন গোটা শহরই প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় রূপান্তরিত হয়ে যাবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে। এদিন রাহুল সিনহা ও বাবুল সুপ্রিয়রা প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থল ঘুরে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলার কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভা নিয়ে রাহুল সিনহার জনসমুদ্রের দাবিকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘মোদীর জনসভায় উত্তর প্রদেশ থেকে এক-দেড়শ ভাড়া করা লোকজন এসে মঞ্চে বসে মোদীজী মোদীজী করবেন শুধু।’ উত্তমবাবু বলেন, ‘শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরের বিভিন্ন বন্ধ কলকারখানা খোলার যেমন উদ্যোগ নেননি তেমনই রুগ্ন কলকারখানাগুলিকে উজ্জীবিত করতে মোদী একটাকাও ইনভেস্ট করেননি। প্রতিশ্রুতি মতো মানুষের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকাও জমা করেন নি। তাই মিথ্যাবাদীদের শিল্পাঞ্চলের মানুষ নেবে না।