File Picture

পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা আসানসোলের মেয়র এবং পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জীতেন তেওয়ারি করোনা আক্রান্ত হলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয় সূত্রে এই খবর জানা গেছে। জানা গেছে, স্বাস্থ্য দফতরের নজরদারিতে জীতেনবাবু হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। জানা গেছে, জীতেনবাবুর ঘনিষ্ঠ দলীয় দুই কর্মীও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। করোনার লকডাউন শুরু থেকে সমস্যা জর্জরিত মানুষের পাশে থাকা থেকে মানুষের বাড়ি বাড়ি খোঁজখবর নেওয়া, খাদ্য সামগ্রী, বস্ত্র পৌঁছে দেওয়া এবং একই সঙ্গে দলের কর্মীদের সময় দেওয়া, প্রতিদিন দলীয় কর্মীসভা করার ফাঁকে হঠাৎ করে করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি। জানা গেছে, ১০ সেপ্টেম্বর আসানসোলের উষাগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কার্যালয় অগ্নিকন্যা ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি জীতেন তেওয়ারি উপস্থিত ছিলেন। রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক সহ আরও বেশ কয়েকজন দলীয় কর্মী উপস্থিত ছিলেন। শনিবার জীতেনবাবুর করোনা আক্রান্তের খবর ছড়িয়ে পড়তেই জেলা জুড়ে শাসকদলের কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

শুধু মাত্র জীতেনবাবু নন। এই কিছু দিন আগে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার সুকেশ জৈনও করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি সুস্থ হয়ে ফের কাজে যোগদান করেছেন। দুর্গাপুরের দুই ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটও করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। বর্তমানে তাঁরাও সুস্থ হয়ে ফের কাজে যোগদান করেছেন। দুর্গাপুরে বেশকিছু পুলিশ কর্মী ও সংবাদ মাধ্যম কর্মীও করোনা আক্রান্ত হন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী জানা গেছে, জেলা জুড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও সেই নিরিখে প্রথম থেকেই করোনার সুস্থতার হার যথেষ্ট বেশি পশ্চিম বর্ধমান জেলাতেও। স্বাস্থ্য দফতর জেলার মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন এবং অতি অবশ্যই মুখে মাস্ক এবং সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।

Like Us On Facebook