দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশের বিরুদ্ধে এক যুবককে কাজ দেবার নাম করে ডেকে বেধড়ক মারধর করে মিথ্যে মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠল। বীরভূমের বাসিন্দা ওই যুবককে নিজেদের হেফাজতে নিতে রবিবার দুর্গাপুর আদালতে পুলিশ হাজির করলে আদালত পুলিশের আবেদন খারিজ করে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে আদালত নির্যাতনের শিকার ওই যুবকের আইনজীবীর আবেদনে সাড়া দিয়ে ওই যুবকের উপর থানায় পুলিশী নির্যাতন, হাসপাতালের চিকিৎসা সহ নথী পরের শুনানি ১৯ ডিসেম্বর আদালতে জমা করার নির্দেশ দেন।
বীরভূমের সদাইপুর থানার অন্তর্গত যাত্রা গ্রামের বাসিন্দা শেখ মিঠুনকে কাজ দেবার নাম করে দুর্গাপুরে ডেকে কয়েক দিন আটক রেখে পুলিশ বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ শেখ মিঠুনের আইনজীবী সঞ্জিব কুন্ডুর। সঞ্জিব কুন্ডু বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের আইনকে তোয়াক্কা না করে অনৈতিক ভাবে চারদিন ধরে আটকে রেখে বেধড়ক মারধর করে দুর্গাপুরের এনটিএস থানার ওসি ও তাঁর সহকর্মীরা মিথ্যে মামলা দায়ের করেছেন আমার মক্কেল শেখ মিঠুনের বিরুদ্ধে। ওসি ও তাঁর সহকর্মীরা মানবাধিকার লঙ্ঘন করছেন। মহামান্য আদালত পুলিশি হেফাজতের আবেদন খারিজ করে দিয়ে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন এবং আমার মক্কেলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলারকে। মহামান্য আদালতের নির্দেশে আমরা খুশি।’ যদিও পুলিশ এই বিষয়ে কিছু বলতে অস্বীকার করে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। মিঠুনের মা জারিফা বিবি বলেন, আমার ছেলেকে পুলিশ কাজ দেওয়ার নাম করে ডেকে এনে মারধর করেছে ও মিথ্যা মামলা দিয়েছে।