মন্দিরের পুরোহিতের বিরুদ্ধে দিনে দুপুরে দুটো আস্ত শাল গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠল। খবর পেয়ে গাছ পাচার রুখে দিল স্থানীয় মানুষ।এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ও বন দফতরের আধিকারিকরা ছুটে আসেন। এমএএমসি টউনশিপের সিডি কালীবাড়ি সংলগ্ন একটি আবাসন থেকে মন্দিরের নিত্য পূজারির বিরুদ্ধে গাছ বিক্রির অভিযোগ উঠলেও পুরোহিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
জানা গেছে, বহু মূল্যবান ২টি শাল গাছ কেটে বিক্রি করে দেওয়ার কাজ হচ্ছিল দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার অধীন এমএএমসি টউনশিপের সিডি কালীবাড়ি সংলগ্ন একটি আবাসন থেকে। স্থানীয়রা গাছ পাচারের এই ঘটনা আঁচ করতে পেরে জড়ো হন ওই আবাসনের সামনে। ততক্ষণে দুটি গাছ কাটা হয়ে গিয়েছিল। আচমকা স্থানীয়দের জড়ো হতে দেখে সবকিছু ফেলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতিরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ। পুলিশ আটক করে আবাসনের মালিক গয়ারাম গোস্বামীকে। এই গয়ারাম গোস্বামী কালী মন্দিরের পূজারী। ঘটনাস্থল থেকেই স্থানীয়রা বন দফতরের খবর দেন। আসেন দুর্গাপুর ডিভিশনের রেঞ্জ অফিসার অরূপ রায় সহ পদস্থ আধিকারিকরা। ছুটে আসেন স্থানীয় ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লাভলী রায়।
আইনমাফিক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন দুর্গাপুর ডিভিশনের রেঞ্জ অফিসার অরূপ রায়। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলার লাভলী রায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ আর বন দফতর একটু সক্রিয় না হলে গোটা এমএএমসি টাউনশিপ জুড়ে অবাধ গাছ কাটার যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে তা বন্ধ করা আর সম্ভব হবে না। গোটা ঘটনায় সোমবার ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে নিউ টাউনশিপ এলাকার এমএএমসি সিডি টাউনশিপ এলাকায়। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গয়ারাম গোস্বামী।