দুর্গাপুর-ফরিদপুর পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ স্বাধীন ঘোষের বিরুদ্ধে এতদিন স্বজন পোষণ, তোলাবাজি, এলাকায় সিন্ডিকেট চালানো সহ সরকারি খাস জমি প্লট করে বিক্রি করার অভিযোগ তুলেছিলেন গ্রামবাসীরা। মঙ্গলবার খাস জমি প্লট করে বিক্রির অভিযোগে উত্তাল হল জেমুয়া।
জেমুয়া গ্রামের মানুষের অভিযোগ, জেমুয়ার ২৪৮ দাগের খাস জমিটি দীর্ঘ দিন ধরে পড়ে আছে। সেই জমিটি আগে বন্টন করে দেওয়া হয়েছিল। পাট্টা দেওয়া সেই জমি স্বাধীন ঘোষ সহ তাঁর অনুগামীরা প্লট করে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এই নিয়ে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা মঙ্গলবার ক্ষোভে ফেটে পড়ে কর্মাধ্যক্ষ স্বাধীন ঘোষকে মারতে উদ্যত হন। কর্মাধ্যক্ষকে জেমুয়া পঞ্চায়েতে আটকে রাখেন এলাকার বাসিন্দারা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কর্মাধ্যক্ষকে গ্রামবাসীদের হাত থেকে বাঁচায়। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা স্বাধীন ঘোষের উপর সমস্ত রাগ মেটায় তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করে। পরে গ্রামবাসীদের দাবি মেনে পুলিশ স্বাধীন ঘোষকে হাত জোড় করে তাঁর ভুল স্বীকার করালে গ্রামবাসীরা শান্ত হন। এই ঘটনায় শাসকদল বেশ অস্বস্তিতে পড়ে যায়।
কেবলমাত্র জেমুয়ার ২৪৮ দাগের জমিটি বেআইনি ভাবে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা ছাড়াও শাসক দলের এই নেতা গোটা জেমুয়া অঞ্চল থেকে স্টিল পার্ক, কালী গঞ্জের বিভিন্ন খাস জমি প্লট করে বিক্রি করে মোটা অর্থ উপার্জন করেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয় মানুষজনের। পাশাপাশি তাঁর অনুগামী আমিন, কুতুবুদ্দিন, মল্লিকা লোহারদের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন এলাকার বাসিন্দারা। মঙ্গলবার পুঞ্জিভূত সেই ক্ষোভ আছড়ে পড়ে কর্মাধ্যক্ষ স্বাধীন ঘোষের উপর। যদিও স্বাধীনবাবু তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এটা সিপিএম এবং বিজেপির চক্রান্ত। আমরা মানুষের সঙ্গে থেকে এই চক্রান্তের মোকাবিলা করব।’