গৃহবধূ ও শিশুকে গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। দুর্গাপুরে দুবচুরিয়ায় এই ঘটনার জেরে রবিবার উত্তেজনা ছড়ালো এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। শেষমেষ বাধার মুখে পড়ে পুলিশ থানায় ফিরে আসে। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের দুবচুরিয়া শিবমন্দিরের কাছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১২ বছর আগে বাঁকুড়ার নিত্যানন্দপুরের টুম্পা লোর বিয়ে হয়েছিল দুর্গাপুরের চিরঞ্জিত লোর সাথে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই নানা অছিলায় টুম্পার উপর অত্যাচার চালাতো তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। শনিবার রাতে পারিবারিক অশান্তি চরমে পৌঁছোয়। অভিযোগ, বছর ৩৪-এর টুম্পা ও তাঁর সন্তানকে স্বামী চিরঞ্জিত ও পরিবারের অন্যান্য লোকজন একটি ঘরে বন্ধ করে দিয়ে সেই ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। টুম্পার বাড়িতে ফোন করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানিয়ে দেয় ঠিক সময়ে টুম্পার দেহ তাঁরা পেয়ে যাবেন। কোনক্রমে দরজা ভেঙে টুম্পা বেড়িয়ে গিয়ে পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন।
রবিবার সকাল থেকে এই ঘটনার জেরে গোটা এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে টুম্পার বাপের বাড়ির লোকজন দুর্গাপুর চলে আসেন। ঘটনাস্থলে আসে ওয়ারিয়া ফাঁড়ির পুলিশ। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে সবকিছু মিটমাট করে নেওয়ার পরামর্শ দেয় বলে অভিযোগ। এতে উত্তেজিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান পড়শিরা। জনতার প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত পুলিশ ঘটনস্থল থেকে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। এরপর অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে প্রবল বিক্ষোভ শুরু করেন দুবচুরিয়া এলাকার মানুষ। টুম্পা লো বলেন, ‘আমার স্বামী মদ্যপ অবস্থায় প্রতিদিন বাড়ি ফিরে আমাকে মারধর করে। আমার স্বামীর সঙ্গে একটি মেয়ের অবৈধ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। আমাকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। কিন্তু আমি রাজি না হওয়ায় আমাকে ও আমার সন্তানকে পুড়িয়ে মারতে চায় আমার স্বামী।’