সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর-২ ও আঝাপুর পঞ্চায়েতের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সুকান্ত পাল বৃহস্পতিবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন। বিচারক আত্মসমর্পণকারীকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একশো দিনের কাজ সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের বিপুল পরিমাণ টাকা সরানোর অভিযোগ দায়ের করেছিলেন দুই পঞ্চায়েত প্রধান। জালিয়াতি সামনে আসার পরই গা-ঢাকা দিয়েছিলেন অভিযুক্ত সুকান্ত পাল। অভিযোগ দায়ের হওয়ার প্রায় পাঁচ মাস পর বর্ধমান আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন অভিযুক্ত।
জানা গেছে, সুকান্ত পাল জামালপুর থানার শুঁড়েকালনা এলাকার বাসিন্দা। ২০০৭ সাল থেকে তিনি জামালপুর-২ পঞ্চায়েতে চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। পরে তিনি জামালপুরের আঝাপুর এবং বেড়ুগ্রাম পঞ্চায়েতে কাজ করেছেন। এইসব পঞ্চায়েতে গত কয়েক বছরে প্রচুর আর্থিক অনিয়ম ধরা পড়ায় স্পেশাল অডিট হয়। এরপর স্পেশাল অডিটে কয়েক কোটি টাকা তছরুপের বিষয় সামনে এলে সুকান্ত পালের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন দুই পঞ্চায়েতের প্রধান। এরপরই জানুয়ারি মাস থেকে গা-ঢাকা দেন অভিযুক্ত। অভিযোগ, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের মাস্টার রোলে উপভোক্তার পরিবর্তে নিজের পরিচিত কারও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়ে সেই টাকা তিনি আত্মসাত করতেন। যদিও ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত বলে দাবি অভিযুক্তের আইনজীবীর।
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, মাত্র হাজার সাতেক টাকার চাকুরে সুকান্ত পাল গ্রামে প্রাসাদোপম বাড়ি, গাড়ি করেছেন। বর্ধমানের একটি সোনার দোকান থেকে একদিনে কয়েক লাখ টাকার সোনার গয়না কেনার কথাও জানতে পারেন তদন্তকারীরা। তাঁর বিলাসবহুল জীবনযাপন এলাকায় চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল।