দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা হাসপাতালে রবিবার কোভিড টিকাকরণ বন্ধ, তাই রবিবার দেওয়া হবে না করোনা ভ্যাকসিন – এমনই অভিযোগে ৭৪ বছরের পৌঢ় রাম পদ কোনারের। তিনি দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গীর বাসিন্দা। রামপদবাবু দুর্গাপুরের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ, এসএমএস করে ভ্যাকসিন দেওয়ার দিনক্ষণ জানিয়েও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা হাসপাতাল থেকে রবিবার তাঁকে করোনা ভ্যাকসিন না দিয়েই ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। শুধু ওই পৌঢ় একা নন, একই ভাবে কো-উইন অ্যাপে নাম নথিভুক্ত আরও বেশ কয়েকজনকে রবিবার দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা হাসপাতাল থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত সিআইএসএফ নাকি ঘুরিয়ে দেয়।

রামপদবাবুর প্রশ্ন, যদি রবিবার ভ্যাকসিন দেওয়া বন্ধ থাকে তাহলে কেন কো-উইন অ্যাপ মারফৎ রবিবার দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা হাসপাতাল ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা এসএমএস মারফৎ জানানো হল? তাঁর অভিযোগ, হাসপাতাল, কো-উইন অ্যাপ বা ভ্যাকসিন নেওয়ার নাম নথিভুক্ত সংস্থা ও স্বাস্থ্য দফতরের মধ্যে এক সমন্বয়ের অভাবে রবিবার আমি এবং আরও কয়েকজন বৃদ্ধ মানসিক ও শারীরিক ধকল সহ্য করলাম। রামপদবাবুর বলেন, ‘আমরা যে ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে হাসপাতাল থেকে ফিরে এলাম, ডিএসপি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সে বিষয়ে কোন খোঁজ নিলেন না।’

এই বিষয়ে দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক অর্ঘ প্রসূন কাজী বলেন, ‘বিষয়টি আমি এখনই জানলাম। আমি তদন্ত করে দেখছি ঠিক কি কারণে ভ্যাকসিন দেওয়া হয় নি ওনাদের।’ দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার জনসংযোগ আধিকারিক বেদবন্ধু রায় বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না। আমার কাছে এই বিষয়ে কোন খবর নেই। আমি আগে আগামী কাল জানবো, তারপর এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেব।’ রামপদ কোনারের ছেলে কৌশিক কোনার বলেন, ‘যদি রবিবার ডিএসপি হাসপাতালে ভ্যাকসিনেশন বন্ধই থাকে, তাহলে কেন আমাদের কো-উইন অ্যাপ মারফৎ ভ্যাকসিন নেওয়ার অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়া হল? শুধু শুধু অসুস্থ বাবাকে হয়রানির শিকার হতে হল।’

Like Us On Facebook