দুর্গাপুরের নেপালি পাড়া হিন্দি হাইস্কুলের কন‍্যাশ্রী ক্লাবের সহযোগিতায় দাদার হাতে দশ বছর ধরে ধর্ষিতা এক স্কুল পড়ুয়া নতুন জীবন ফিরে পেল। স্কুলের কন‍্যাশ্রী ক্লাবের সদস্যদের তৎপরতায় ওই নির্যাতিতা স্কুল পড়ুয়া এখন চাইল্ড ওয়েলফেয়ারে আর কীর্তিমান দাদা গেল শ্রীঘরে। জানা গেছে দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানা এলাকায় বাড়ি ওই নির্যাতিতা স্কুল পড়ুয়ার।

নির্যাতিতার অভিযোগ, গত দশ বছর ধরে তার বাবা-মায়ের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে তার দাদা তাকে শারীরিক নির্যাতন করছে। নির্যাতিতার আরও অভিযোগ, বাবা-মাকে সব জানালেও বাবা-মা ছেলের প্রতি দুর্বলতার জন্য উল্টে দাদাকে কিছু না বলে নির্যাতিতাকে দোষারোপ করে। জানা গেছে, নির্মম এই সত্য ঘটনার কথা নির্যাতিতা এতদিন কাউকে বলতে না পারার ফলে মানসিক অবসাদে ভুগছিল। প্রভাব পড়ছিল তার পড়াশোনায়। স্কুলের এক সহপাঠী তার সমস্যার কথা জানতে চাইলে সব জানিয়ে সে আত্মহত্যা করার মনস্থির করার কথা জানায়। ওই সহপাঠী তৎক্ষণাৎ স্কুলের কন‍্যাশ্রী ক্লাবকে সবিস্তারে জানালে কন‍্যাশ্রী ক্লাবের সদস্যরা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ডঃ কলিমূল হককে সব জানায়।

সূত্র মারফৎ জানা গেছে, প্রধান শিক্ষকও নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে কথা বলার পর সন্তোষজনক উত্তর না পেয়ে শেষমেশ পুলিশের দ্বারস্থ হলে পুলিশ গতকাল কীর্তিমান দাদাকে গ্রেফতার করে শুক্রবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে হাজির করলে আদালত অভিযুক্তকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। আর নির্যাতিতা বাড়ি ফিরতে না চাওয়ায় তাকে পাঠায় চাইল্ড ওয়েলফেয়ারে। পাশাপাশি নির্যাতিতার মেডিকেল টেস্টের নির্দেশ দেয় আদালত।

এই ঘটনার পর নেপালি পাড়া হিন্দি হাইস্কুলের কন‍্যাশ্রী ক্লাবের সদস্যরা ও প্রধান শিক্ষক ডঃ কলিমূল হক দুর্গাপুরের অন্যান্য স্কুলগুলিতেও স্কুল পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াতে এবং তাদের সচেতন করতে সচেতনতা কর্মসূচি নিতে চলেছে বলে জানা গেছে।

Like Us On Facebook