এক ভুয়ো চিকিৎসক ও ওষুধ দোকানদারের পাল্লায় পড়ে দুর্গাপুরের ফরিদপুরের এক গৃহবধূ শ্রবণশক্তি হারাতে বসেছেন বলে অভিযোগ। জানা গেছে ফরিদপুরের বাসিন্দা ময়না কর্মকার দিন দুয়েক আগে কানে জল পড়া ও ব্যথা নিয়ে ফরিদপুরের এক ওষুধ দোকানে যান। ওষুধ দোকানদার ওই দোকানের চেম্বারে বসা এক ডাক্তারকে ময়নাদেবীর কান দেখাতে বলেন। ডা. তাপস মেটিয়া নামের ওই ডাক্তারবাবু প্রেসক্রিপশন করে কিছু ওষুধ লিখে দেন। ওষুধের দোকানদার ওই ওষুধ দেন ময়নাদেবীকে। বাড়ি ফিরেই ওই ওষুধ খাওয়া ও কানে ড্রপ নেওয়া শুরু করেন ময়নাদেবী। কিন্তু কানের ব্যাথা না কমে উল্টে বেড়ে যায় ও কানের শ্রবণশক্তি সম্পূর্ণ কমে যায় বলে অভিযোগ ময়নাদেবীর স্বামী জীবন কর্মকারের। জীবনবাবু জানান, অন্য এক ওষুধের দোকান থেকে তিনি জানতে পারেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক একজন ভুয়ো চিকিৎসক। বিষয়টি জানা জানি হয়ে গেলে ওষুধ দোকানদার ও অভিযুক্ত চিকিৎসক ময়নাদেবীকে পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে বিষয়টি চেপে যেতে বলেন বলে অভিযোগ। এর পর ময়না কর্মকারের স্বামী জীবন কর্মকার দুর্গাপুর মহকুমাশাসকের দারস্থ হন। মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
Like Us On Facebook