ডিপিএলের জমি দখল মুক্ত করতে উদ্যোগী হল জেলা প্রশাসন। এই বিষয়ে দুর্গাপুরের পিয়ালা গ্রাম পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।ডিপিএল রাজ্য সরকারের অধীনে একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। সংস্থার দখল হয়ে যাওয়া জমিকে পুনরুদ্ধার করতে এবার তৎপর হল জেলা প্রশাসন ও ডিপিএল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার কোকওভেন থানার অন্তর্গত পিয়ালা গ্রাম এলাকা সংলগ্ন জামাইপাড়া সহ বেশ কিছু জায়গা ঘুরে দেখলেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলা শাসক বিভু গোয়েল, আসানসোল দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুর ও ডিপিএলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সহ প্রশাসনের পদস্থ অধিকারিকরা। ঘুরে দেখেন ডিপিএলের দখল হওয়া জমি আর কিভাবে সেই জমি ফের দখলমুক্ত করা যায় তা নিয়েও ম্যাপ মিলিয়ে তার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখেন তাঁরা। এই বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চাননি জেলা শাসক বিভু গোয়েল, শুধু জমি সার্ভে করা হচ্ছে বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান ডিপিএলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর গৌতম বিশ্বাসও।

উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে ডিপিএলকে চাঙা করতে দুর্গাপুরে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সাড়েন রাজ্যের বিদ্যুৎ সচিব সুরেশ কুমার। সেখানে ঠিক হয়েছিল বকেয়া জল ও বিদ্যুতের টাকা আদায়ের ব্যাপারে তৎপরতা বাড়ানো হবে এবং দখল হয়ে যাওয়া ডিপিএলের জমি ফের পুনরুদ্ধারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় ডিপিএল আধিকারিকদের। আর সেই নির্দেশ মোতাবেক শুক্রবার আসানসোলিদুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুর, পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক বিভু গোয়েল সহ জেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা ডিপিএল আধিকারিকদের সঙ্গে ম্যাপ নিয়ে দখল হয়ে যাওয়া জমি পরিদর্শনে যান।

এদিকে, পুনর্বাসন ছাড়া জমি ছাড়বেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ডিপিএলের জমির উপর থাকা মানুষজন। প্রায় পঁচিশ বছর ধরে তাঁরা বসবাস করছেন এই অঞ্চলে এরপর পুনর্বাসন না দিয়ে যদি জোর করে তুলে দেওয়া হলে প্রতিবাদ করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন দখলকারীরা। দুর্গাপুর নগর নিগমের কাউন্সিলর মানস রায় জানান, রাজ্যের বিদ্যুৎ সচিবের নির্দেশে তাঁরা জমি দেখতে গিয়েছিলেন, পরিদর্শনও করেছেন জমি। স্থানীয়দের পুনর্বাসনের দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন দুর্গাপুর নগর নিগমের কাউন্সিলর মানস রায়। সব মিলিয়ে এখন দেখার বিষয় কিভাবে শুরু হয় দখলদার উচ্ছেদ। আর সরকার কতটাই বা ঝুঁকি নিতে পারে এই ব্যাপারে, কারণ সামনের বছর দুর্গাপুর নগর নিগমের নির্বাচন।

Like Us On Facebook