রির্জাভ ব্যাঙ্কের নির্দেশে সারা দেশে সচল হলেও কিছু কিছু জায়গায় কয়েন নিয়ে সমস্যায় পড়ছেন মানুষ। বিশেষ করে দশ টাকা ও ছোট এক টাকার কয়েন নিয়ে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়েই আতান্তরে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশ অমান্য করেই লেনদেনে কয়েন চালাতে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের মধ্যে বিবাদ চলছে বেশ কয়েকমাস ধরে। বার বার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জমা করেও এতদিন কোন সুরাহা মেলেনি। কিন্তু ৭ জুলাই বেনাচিতির বিদ্যুৎ দপ্তরে এক গ্রাহক বিদ্যুৎ বিল জমা করতে খুচরো দেওয়ায় এক কর্মী তা নিতে অস্বীকার করে কাউন্টার বন্ধ করে দেওয়ায় দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসনের কাছে ওই গ্রাহক অভিযোগ জানালে দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক ওই বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীকে রবিবার শোকজ করেন। এই ঘটনায় দুর্গাপুরে সরকারি কর্মীদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়ায়।
জানা গেছে, চিরঞ্জিৎ ধীবর নামের এক শিক্ষক বেনাচিতির বিদ্যুৎ দপ্তরে বিল বাবদ ১২৯৫ টাকা নোটের সঙ্গে কয়েকটি কয়েন জমা দিতে গেলে কাউন্টারে কর্তব্যরত এক বিদ্যুৎ কর্মী তা নিতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ। চিরঞ্জিৎবাবুর অনুরোধ সত্বেও ওই সরকারি কর্মী কটু কথা বলে কাউন্টারটি বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ। পুরো ঘটনাটি মোবাইলে ভিডিও রেকর্ডিং করে এর পরই চিরঞ্জিৎবাবু সরাসরি দুর্গাপুর মহকুমাশাসককে প্রমাণ সহ অভিযোগ পাঠান তাঁর হোয়াটস্অ্যাপ মারফৎ। সরাসরি প্রমাণ পেয়ে এর পরই নড়ে চড়ে বসে দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসন। মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরার নির্দেশে ওই বিদ্যুৎ কর্মীকে রবিবার শোকজ করে দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসন।
এদিকে এই খবরে সরকারি কর্মী ইউনিয়নের কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়ায়। কর্মীদের অভিযোগ বিদ্যুৎ বিল সহ বিভিন্ন দপ্তরের ক্যাশ কাউন্টারে নোটের পরিবর্তে খুচরো গুনতে হলে একজন কর্মীকে বহুক্ষণ একজন গ্রাহকের কাজেই ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ে অন্যদের কাজ সেই কর্মী কি ভাবে করবে সেই প্রশ্ন পাল্টা তুলছেন অন্যান্য সরকারি কর্মীরা। সরকার অবিলম্বে সমস্ত সরকারি ক্যাশ কাউন্টারগুলিতে নোট ও খুচরো গোনার মেশিন দিলে তবেই সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে পাল্টা পরামর্শ দেন সরকারি কর্মচারি ইউনিয়নের কর্মীরা। না হলে শো-কজে এই সমস্যা কোনদিনই সমাধান হবে না বলে দাবি তাঁদের।