ডিজিটাল ও ক্যাশলেস ইন্ডিয়া তৈরি করতে চায় না পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। কেন্দ্রের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প গুলিও মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে আজ অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলার মা মাটি মানুষের সরকার। অথচ এই তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী কেন্দ্রের বাংলা বঞ্চনার মিথ্যে অভিযোগ করছেন মানুষের কাছে। শুক্রবার দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর রাজীব গান্ধী মেলা ময়দানে মোদী মেলার উদ্বোধন করে এই অভোযোগ করেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে পাশে বসিয়ে এদিন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্র বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হন। রঘুবর দাসের দাবি যতই তৃণমূল সরকার কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পগুলি সাধারন মানুষের কাছে পৌঁছাতে বাধা দেবে এবং প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মানুষের উন্নয়নে বিভিন্ন জনমুখী পরিকল্পনা গুলি ততই মানুষের মন ছুঁয়ে গিয়ে আগামী নির্বাচনে বিজেপি বাংলা জয় করবে। শুক্রবার সকালে মোদী মেলার উদ্ধোধন করতে ঝাড়খণ্ড থেকে দুর্গাপুরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস। ২, ৩ ও ৪ জুন, তিন দিন ধরে চলবে এই মেলা। মেলায় প্রধান মন্ত্রী নরেদ্র মোদীর গত তিন বছরের জনমুখী পরিকল্পনা গুলি যেমন, মানি ট্রান্সফারের জন্য ভীম অ্যাপসের হাতে কলমে প্রচার, কৌশল বিকাশ যোজনা, কৃষি যোজনা, গ্যাস সিলিন্ডার বিনা মুল্যে বিতরনের জন্য মহিলাদের সশক্তিকরণ যোজনা, বিভিন্ন আর্থিক যোজনা ও মন কি বাতের প্রচারের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে মেলায়। মানুষের কাছে তুলে ধরে হয়েছে মেকিং অফ ডেভেলপড ইন্ডিয়াকে। সকাল ১০ টা থেকে প্রত্যেকদিন রাত্রি ৮টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে সাধারনের জন্য। প্রত্যেকদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। মেলায় দর্শক টানতে লটারির মাধ্যমে লাকি ড্র-এর ব্যবস্থা করেছে মেলা কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের হুমকিতে মেলার কাজ বন্ধের অভিযোগের পর নড়ে চড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। মেলায় যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা ফের না ঘটে, মেলায় পুলিশ ও দমকলের কড়া নজর দারিতে মোদী মেলার সার্বিক প্রচার দুর্গাপুর বাসীর কাছে পৌঁছে দিতে দুর্গাপুরের বিজেপি কর্মীরা প্রবল উৎসাহে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
Like Us On Facebook