মায়ের বাড়ি দখল করে থাকার অভিযোগ নিজেরই মামার বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ করতে গিয়ে ভোজালির কোপ পড়ল ভাগ্নীর উপর। ভাগ্নীকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন স্থানীয় মহিলা সমিতির সদস্যরা। বুধবার দুপুরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় দুর্গাপুর থানার অন্তর্গত বেনাচিতির শ্রীনগর পল্লীতে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বেগ পেতে হয় দুর্গাপুর থানার পুলিশকে। ভিত্তিহীন অভিযোগ দাবি মামার, পাল্টা ভাগ্নীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন মামী।
দুর্গাপুরের ২০নং ওয়ার্ডের শ্রীনগর পল্লীতে দীপ্তি সরকারের বাড়ি রয়েছে। দিদি দীপ্তি সরকার জামাইবাবু সুনীল সরকার এবং ভাগ্নী হেনা শেঠের সঙ্গে ছোট থেকেই থাকতেন অজয় মল্লিক। ১৯৯৬ সালে হেনা শেঠের বিয়ে হয়ে যায়, তারপর সপরিবারে দিদির বাড়িতে থাকতেন অজয় মল্লিক। ২০১৮ সালে সুনীল সরকার ও ২০২১ সালে দীপ্তি সরকার মারা যান। তারপর ভাগ্নী হেনা শেঠ মায়ের বাড়িতে এলে এবং বাড়ির দাবি করলেও ঢুকতে দেওয়া হত না বলে অভিযোগ। গত মঙ্গলবার রাত থেকে বাড়ির দাবিতে মায়ের বাড়ির বাইরে বসে ধর্না শুরু করেন হেনাদেবী। কিন্তু তাঁকে কোন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি এবং বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
বুধবার সকাল থেকে মামার পরিবারের সাথে ভাগ্নীর দফায় দফায় বচসা হয়। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় স্থানীয় মহিলা সমিতির সদস্যারা, তাঁরাও হেনাদেবীর হয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন। পরে মহিলা সমিতির সদস্যরা এবং হেনাদেবী তাঁর মায়ের বাড়িতে ঢুকলে মামী এবং মামাতো বোন তঁদের উপর ভোজালি নিয়ে হামলা করেন বলে অভিযোগ। আহত হন হেনাদেবী ও মহিলা সমিতির একাধিক সদস্যা।
মামী বাবনি সরকারের পাল্টা অভিযোগ, মৃতা দৃপ্তিদেবী তাঁদের বাড়ি দান করে দেন। তবুও তাঁরা হেনাদেবিকে ১৫ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। তাতেও রাজি হননি হেনাদেবী এবং তাঁদের ওপর হামলা চালান বলে অভিযোগ। আহত হন তাঁরা। এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দুর্গাপুর থানার পুলিশ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।