Photo Courtesy: Facebook and guinnessworldrecords.com

বিদেশের খনি থেকে বিশ্বের সব থেকে বড় পান্না উদ্ধার করলেন দুর্গাপুরের ছেলে। ১.৫০৫ কেজির এই পান্নার বর্তমান বাজার দর ১৫ কোটি টাকা। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে ইতিমধ্যে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পান্নার স্বীকৃতি পেয়েছে এই পান্নাটি। জাম্বিয়ার কপারবেল্ট প্রভিন্সের কাগেম খনি থেকে এই পান্না উদ্ধার করেন ভূতত্ত্ব বিভাগের বিশেষজ্ঞ দল। এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন জাম্বিয়ার খনি বিশেষজ্ঞ রিচার্ড কাপেটা। পান্নার সন্ধানে অভিযান শুরু হয়। সেই ছয় সদস্যের দলে ছিলেন দুর্গাপুরের ছেলে ভূতত্ত্ববিদ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়।

২০২১ সালের ১৩ জুলাই আবিষ্কার হয় ‘চিপেমবল’ নামের এই পান্না। পৃথিবীর সব থেকে বড় পান্নাটি উদ্ধারে মানসবাবুর বিশেষ কৃতিত্ব রয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট খনি সংস্থা মানস বন্দ্যোপাধ্যায়দের কৃতিত্ব সেইসময় সেভাবে সম্মানিত করেনি। কিন্তু সম্প্রতি গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পান্নার স্বীকৃতি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযানে থাকা মানসবাবুদের নাম বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।

মানসবাবু বর্তমানে দুর্গাপুরের বাড়িতে আছেন। নতুন বছরে অন্য একটি সংস্থায় কাজে যোগদান করবেন বলে জানা গেছে। তিনি দুর্গাপুরের স্টিল টাউনশিপের কাশীরাম দাস স্কুল থেকে পঠনপাঠন শুরু করে দুর্গাপুর গভর্ণমেন্ট কলেজ, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূতত্ত্ব বিভাগে এমএসসি পাশ করে মুম্বাইয়ে একটি খনি সংস্থায় কাজে যোগদান করেন। তারপর সৌদি আরব ও পরে জাম্বিয়ার একটি খনিবৃহত্তম পান্না উদ্ধার করে বিশ্বকে তাক লাগালেন বাংলার মানস, লক্ষ্য আরও অমূল্য রতনের খোঁজ সংস্থায় রত্ন বিশেষজ্ঞ হিসেবে যোগদান করেন। এর আগেও মানসবাবুর রত্ন উদ্ধারের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা রয়েছে, তারমধ্যে রয়েছে ২০১৮ সালে ১.১৩১কেজির পান্না উদ্ধার অভিযান। চার বছর পর মানসবাবু দুর্গাপুরের বাড়িতে এলেন বলে জানা গেছে।

Like Us On Facebook