হাসপাতালে স্বাস্থ্য কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল গোয়েন্দা বিভাগের এক পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে, প্রতিবাদে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ করে দিয়ে প্রতিবাদে সামিল দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা। চিকিৎসা না পেয়ে পাল্টা বিক্ষোভ রোগীদের। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে।
জানা গেছে, রাজ্য সরকারের গোয়েন্দা বিভাগের এক পুলিশ কর্মীর সঙ্গে হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মীদের দু-চার কথা হতে হতে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। অভিযোগ, মহকুমা হাসপাতালের এক প্যাথলজিস্ট সহ আরও দুই স্বাস্থ্য কর্মীকে ওই পুলিশ কর্মী মারধর করে। প্রতিবাদে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পরিষেবা বন্ধ করে দিয়ে প্রতিবাদে সামিল হন স্বাস্থ্য কর্মীরা। প্রায় তিন ঘন্টা বন্ধ থাকে পরিষেবা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ। এই ঘটনার জেরে হাসপাতালে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। যতক্ষণ না পর্যন্ত অভিযুক্ত শাস্তি না পায় ততক্ষণ পর্যন্ত পরিষেবা বন্ধ করে রাখা হবে বলে সাফ জানিয়ে দেয় হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মীরা।
এদিকে, এই ঘটনার জেরে হাসপাতালে আসা রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা বিক্ষোভ দেখান হাসপাতালের আউটডোর বিভাগে। পরিষেবা বন্ধ হয়ে থাকায় দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলেন রোগীরা। ভোগান্তির মুখে পড়ে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। দাবি জানাতে থাকেন অবিলম্বে পরিষেবা শুরু করার। গোটা ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে। বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়ন করা হয় হাসপাতাল চত্বরে।
দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. ইন্দ্রজিৎ মাজি জানান, থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে গোয়েন্দা বিভাগের ওই পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, অভিযুক্ত ওই পুলিশ কর্মী প্রথমে ওষুধ নিতে এসে এক স্বাস্থ্য কর্মীর সাথে দুর্ব্যবহার করেন, এরপর তাঁকে আগে পরিষেবা দেওয়ার দাবি জানিয়ে হাসপাতালের প্যাথলজিস্ট রথীন ব্যানার্জীর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। এরপর ওই পুলিশ কর্মী রথীনবাবুকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। এরপরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে। এদিকে, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই পুলিশ কর্মীও অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হন বলে জানা গেছে।