কলকাতার বড়বাজারের ব্যবসায়ী সব্যসাচী মন্ডল খুনের ঘটনায় মুল অভিযুক্ত সোমনাথ মন্ডল বর্ধমান আদালাতে আত্মসমর্পণ করলেন। সোমনাথ মন্ডল সম্পর্কে সব্যসাচী মন্ডলের খুড়তুতো ভাই। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমনাথই ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে সব্যসাচী মন্ডলকে খুনের জন্য সুপারি কিলার নিয়োগ করেছিলেন। টাকা দেওয়ার কথা ধৃত সুপারি কিলার জানিশার আলম ওরফে রিকি স্বীকার করেছেন। ঘটনার দিন সোমনাথ সুপারি কিলারদের নিয়ে গিয়ে তাঁদের গ্রামের বাড়ি দেখিয়ে দিয়ে কলকাতায় ফিরে যান।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সুপারি কিলার জানিশার আলম ওরফে রিকি সব কথা স্বীকার করার পরই পুলিশ সোমনাথের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশী চালাচ্ছিল। পাশাপাশি তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে চারচাকা গাড়ির পাশাপাশি ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে আসে একটি কেটিএম বাইক করে দু’জন।। পুলিশ ইতিমধ্যেই বাইকটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে। সিসি ক্যামেরার সূত্র ধরে পুলিশ বাইকের নাম্বার থেকে বাইকের মালিকের ও এক আরোহির খোঁজ পায়। বাইকের মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে তাঁর বাইকে চেপে ঘটনার দিন তাঁরই বন্ধু সোমনাথ মণ্ডল রায়নার দেরিয়াপুরের বাড়িতে এসেছিলো এবং বাড়ির কাছেই চারচাকা গাড়িতে থাকা ৬ জনের সাথে বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলে।
তারপর থেকেই সোমনাথকে ধরার জন্য একদিকে যেমন পুলিশ লুকআউট নেটিশ জারি করে, পাশাপাশি তাঁর খোঁজে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশিও চালাতে থাকে। পুলিশের অনুমান চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত্য বর্ধমান আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন সোমনাথ। যদিও সোমানাথের আইনজীবি মহঃ রাজেশ সেখ জানিয়েছেন, সোমনাথকে ফাঁসনো হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে সোমনাথ কোনেভাবেই যুক্ত নয়।