অভিভাবকরা ফি না মেটানোয় স্কুলের বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের অনলাইন পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠল দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে। কিছু পড়ুয়া স্কুলের ফি না মেটানোয় দুর্গাপুরের বিধান নগরের ওই ইংরেজী মাধ্যম স্কুলের বিরুদ্ধে অনলাইন ক্লাস করতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। করোনা পরিস্থিতিতে লক ডাউনের জন্য স্কুলের ফি দিতে পারেননি অনেক অভিভাবক তারজন্য সেইসব পড়ুয়াদের স্কুল পরীক্ষায় বসতে দিচ্ছে না। এই অভিযোগ করেন অভিভাবকরা। এই বিষয়টি নিয়ে তাঁরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হন বলে জানা গেছে।
অভিভাভকদের অভিযোগ, অভিযুক্ত স্কুলটি সোমবার থেকে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া শুরু করেছে। কিন্তু তাঁরা দেখেন পরীক্ষা চলাকালীন হঠাৎই বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থীর অনলাইনে পরীক্ষার পোর্টালের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাঁরা স্কুলের সাথে যোগাযোগ করলে স্কুল থেকে তাঁদের জানানো হয় যেহেতু তাঁরা ফি জমা করেননি তাই তাঁদের ছেলেমেয়েদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না। অভিভাবকরা বলেন, ‘লকডাউনের কারণে অনেক অভিভাবক বর্তমানে কর্মহীন। রুজিরোজগার নেই। যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরায় সেখানে স্কুলের ফি দেওয়ার ক্ষমতাও তাঁদের নেই। এই স্কুল আদালতের নির্দেশ মানতে চাইছে না। এখন স্কুল এভাবে হঠাৎ অনলাইনে পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়ায় তাঁরা ফি কিভাবে মেটাবেন তা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন।’
অন্যদিকে ফি এর কারণে পড়ুয়াদের পরীক্ষা দিতে দেওয়া হচ্ছে না, এই অভিযোগটি ভুল বলে দাবি করা হয় স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে। ওই স্কুলের অ্যাকাউন্টস ডিপার্টমেন্টের রবীন্দ্র শী বলেন, ‘কোন টেকনিক্যাল কারণে হয়ত ওই পরীক্ষার্থীদের পোর্টাল বন্ধ হয়ে গেছে। অভিভাবকরা বাইরে ভুল তথ্য প্রচার করছেন স্কুলের বিরুদ্ধে।’