মা শ্যামলী ভট্টাচার্য অসুস্থ। বিছানায় শয্যাশায়ী। তাই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তৈরি করতে কেন্দ্রে যেতে পারছেন না। বাড়িতে এসে মায়ের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তৈরি করে দেওয়ার আবেদন করেছিলেন দুর্গাপুরের বিধান চন্দ্র ইনস্টিটিউশন প্রিন্সিপ্যাল অপরাজিতা ভট্টাচার্য। পুরসভার কমিশনারকে এই আবেদন করেছিলেন বেশ কিছু দিন আগে। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তৈরির শিবিরে ভিড় কমতেই অসুস্থ বৃদ্ধা শ্যামলী ভট্টাচার্যের বাড়িতে গিয়ে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তৈরি করে দিলেন পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা।
শুক্রবার শ্যামলী ভট্টাচার্যের আবেদনের ভিত্তিতে দুর্গাপুর পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ রাখি তেওয়ারির নেতৃত্বে পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা শ্যামলী ভট্টাচার্যর বাড়িতে গিয়ে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তৈরি করে দেন। শুক্রবার দুর্গাপুরের বিধান নগরের বাড়িতে গিয়ে এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তুলে দেওয়া হয় শ্যামলী ভট্টাচার্যর পরিবারের সদস্যদের। দুর্গাপুর পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ রাখি তেওয়ারি বলেন, ‘শ্যামলী ভট্টাচার্য অসুস্থ এবং শয্যাশায়ী। ওনার পরিবার আবেদন করেছিলেন বাড়িতে গিয়ে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তৈরি করে দেওয়ার জন্য। সেই আবেদনের ভিত্তিতে শুক্রবার স্বাস্থ্য সাথী কার্ড বাড়িতে গিয়ে তৈরি করে দেওয়া হয়। শুক্রবার এই ভাবে আবেদনের ভিত্তিতে ছয় জনের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তৈরি করে দেওয়া হয়।’ হাতে নাতে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড পেয়ে অসুস্থ বৃদ্ধা শ্যামলীদেবীর সঙ্গে সঙ্গে গোটা পরিবারের মুখে হাসি ফোটে।