দুর্গাপুরের পলাশডিহায় রবিবার বিজেপির যোগদান মেলায় কয়লা পাচারে অভিযুক্তদের বিজেপিতে যোগদান করানো হচ্ছে এই অভিযোগে বিজেপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি হয়। এই অনুষ্ঠানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং আসার আগেই মঞ্চে এবং মঞ্চের নীচে দুই গোষ্ঠীর লোকজনদের মধ্যে প্রথমে বচসা পরে হাতাহাতি শুরু হয়। বসার চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। যদিও পরে অবস্থা শান্ত হলে অনুষ্ঠান যথারীতি শুরু হয়। এবং প্রায় ১৫০ জন বিজেপিতে যোগদান করেন।
দুর্গাপুরের ১৩ নং ওয়ার্ডের বিজেপি সভাপতি অমিতাভ যাদবের অভিযোগ, আমরা এতদিন যাদের হাতে মারধর খেয়েছি। বাড়ির সামনে বোমা মেরেছে আজ তাঁরাই আবার বিজেপিতে যোগদান করছে। আর আমাদের জেলা সভাপতি লক্ষণ ঘোড়ুই অর্থের বিনিময়ে তাঁদের বিজেপিতে যোগদান করাচ্ছে। অমিতাভ যাদব বলেন, ‘দেখুন আজ মঞ্চে কারা কারা যোগদান করছেন, এদের বেশির ভাগই কয়লা পাচারে অভিযুক্ত দাগি কয়লা মাফিয়া। আমি প্রতিবাদ করলে বিজেপির আর এক গোষ্ঠীর লোকজনদের হাতে আমাকে মারধর খেতে হল। এইভাবে জেলা সভাপতি লক্ষণ ঘোড়ুইয়ের টিম তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্ট লোকজন এবং কয়লা মাফিয়াদের বিজেপিতে যোগদান করিয়ে ভোটের আগেই বিজেপির ভাবমূর্তি শেষ করে দিচ্ছে। আর আমরা ওয়ার্ড সভাপতি আমাদের অন্ধকারে রেখে এই দুর্নীতি করেছেন বিজেপি জেলা সভাপতি।’ এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষণ ঘোড়ুই অমিতাভ যাদবের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন। ‘আমি তখন ছিলাম না। কি হয়েছে জানি না। শুনেছি বচসা হয়েছে ভুল বোঝাবুঝি থেকে। তবে ভাঙচুর হয় নি। বিজেপিতে খারাপ লোকজনদের স্থান নেই। দলে যোগদান হয় রাজ্য নেতৃত্বের অনুমতিতে।এরা ভুল বুঝে হয়তো ব্যক্তিগত ইগো থেকে ঝামেলা করেছে। তৃণমূল কংগ্রেস পরিকল্পনা করে আমাদের দলে ঝামেলা তৈরি করেছে। বাড়িতে ধমকি দিচ্ছে বিজেপি কর্মীদের। তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন ইচ্ছাকৃত ভাবে বিজেপির অনুষ্ঠান বানচাল করতে এই সব ঘটনা ঘটাচ্ছে।’
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা উত্তম মুখার্জী বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষণ ঘোড়ুইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা বলেন, ‘এটা ছিল বিজেপির ভাঙচুর মেলা। কয়লা মাফিয়াদের যোগদান করিয়ে বাংলায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইছে বিজেপি।’