দুর্ঘটনা রোধে পুলিশের হরেক কর্মসূচির মধ্যেই ঘটে চলেছে একের পর এক দুর্ঘটনা, সঙ্গে প্রাণ হানি। নিত্যদিন সচেতনতার আবেদন করেও সচেতন করা যাচ্ছে না চালকদের। শনিবারও সিটিসেন্টার বাসস্টান্ডে দুর্গাপুর থানার ওসি অনির্বান বসুর নেতৃত্বে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ কর্মসূচি পালন করা হয়। ট্রাফিক আইনভঙ্গকারীদের সচেতনতার পাঠ দেওয়ার পাশাপাশি গোলাপ ফুলও দেওয়া হয়।

এর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই সিটিসেন্টারের অদূরে সিএমইআরআই বাল্ক সাপ্লায়ের কাছে এক মোটর ট্রেনিং স্কুলের ট্রেনারকে বেপরোয়া এক মারুতি গাড়ি ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলেই ওই ট্রেনারের মৃত্যু হয়। জানা গেছে মৃত ব্যক্তির নাম রতন কাহার(৪১)। দুর্গাপুরের সোনারতরি এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রতনবাবু মোটর ট্রেনিং সেন্টারের কাছেই নিতাই গড়াই নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে গাড়ির ট্রেনিং সংক্রান্ত বিষয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। সেই সময় হঠাৎ রং সাইড দিয়ে একটি মারুতি গাড়ি এসে সজোরে রতন বাবুকে নিয়ে রাস্তার ধারের একটি ল্যাম্পপোস্টে ধাক্কা মারলে বরাত জোরে নিতাইবাবু বেঁচে গেলেও ঘটনাস্থলেই রতনবাবু মারা যান। গাড়ির চালক ও আরেক যাত্রীও গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আহত গাড়ির চালক ও অপর যাত্রীকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে এবং মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। চোখের সামনে মোটর ট্রেনার প্রাণবন্ত রতন কাহারের নির্মম মৃত্যু এলাকার মানুষ মেনে নিতে পারছেন না। এই ঘটনার পর সোনারতরি এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ঘাতক গাড়িটি চালাচ্ছিলেন জয়ন্ত বিশ্বাস এবং পাশে ছিলেন অভিজিৎ কর্মকার। দুজনেই ফরিদপুর শ্রীনগর পল্লীর বাসিন্দা। পুলিশ গাড়িটিকে আটক করেছে। স্থানীয় মানুষদের অভিযোগ গাড়ির দুই আরোহী মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন এবং গাড়িতে মদের বোতলও পাওয়া গেছে।

Like Us On Facebook