দামোদর ব্যারেজ জলশূন্য। ৩১ নং লকগেট মেরামতির কাজ শুরু হতে সম্ভবত মধ্য রাত হয়ে যাবে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। একদিকে জমা জল বের করে দেওয়া হচ্ছে, অপরদিকে উপর থেকে বালির বস্তা ফেলে ভাঙা লকগেটটিতে জলের চাপ কমানোর চেষ্টা হচ্ছে। রাতে লকগেট মেরামতির কাজ শুরু হবে বলে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এদিকে, শনিবার দুপুর থেকে দামোদর ব্যারেজ জলশূন্য হতেই পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষ অনেকেই দামোদর ব্যারেজে মাছ ধরতে নেমে পড়েন। বিভিন্ন মাছ পাঁক থেকে তুলে অনেকে বিক্রি শুরু করে দেন। জলশূন্য দামোদর ব্যারেজ চোখের দেখা দেখতে শনিবার সকাল থেকেই ভিড় উপচে পড়ে। করোনা আবহে সংক্রমণ রুখতে পুলিশকেও ভিড় সামলাতে হিমসিম খেতে হয়। জানা গেছে, ব্যারেজের জলাধারে থাকা ৮ হাজার একর-মিটার জল আজ পূর্ব বর্ধমানের দিকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। ডিভিসির কর্তব্যরত আধিকারিক দেবাশীষ বড়ুয়া জানান, জলশূন্য না হলে কোনভাবেই লকগেট মেরামতির কাজ শুরু করা সম্ভব নয়। তবে প্রয়োজনে ভাঙা লকগেটটির জায়গায় নতুন লকগেট বসানো হতে পারে।