আজ, বৃহস্পতিবার ‘আন্তর্জাতিক বার্ধক্য দিবস’ উপলক্ষে বয়স্কদের নিয়ে ‌দুর্গাপুরের বিভিন্ন থানায় ‘নমন’ প্রকল্পের তৃতীয় বর্ষপূর্তি পালন করল আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ আধিকারিকরা। জেলার বয়স্কদের পাশে দাঁড়াতে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার লক্ষীনারায়ণ মিনার উদ্যোগে ২০১৭ সালে ‘নমন’ প্রকল্প পথ চলা শুরু করে। সেই প্রকল্প আজ ৩য় বর্ষে পদার্পণ করল। সেই উপলক্ষে এদিন এই প্রকল্পের সাড়ম্বরে জন্মদিন পালন করা হলো দুর্গাপুর-আসানসোল জুড়ে। এই প্রকল্পে অবহেলিত এবং নিঃসঙ্গ বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা পুলিশের সাহায্যে উপকৃত।

এদিন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে বিকেলে সমস্ত থানা এলাকাতে নমন প্রকল্পে নথিভূক্ত বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের নিয়ে অনুষ্ঠান করা হয়। দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের চতুরঙ্গ ময়দান, ‌বিধাননগর সহ সমস্ত থানায় নমনের জন্মদিন পালন করা হয়। এই নমন অনুষ্ঠানে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের কাছে তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার কথা জানতে চাওয়া হয়। আজ সকালে নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে বিধাননগরে স্থানীয়দের নিয়ে অনুষ্ঠান করা হয়। দেওয়া হয় মাস্ক ও স্যানিটাইজার। উপস্থিত ছিলেন কাঁকসার এসিপি দীপঙ্কর বক্সি ও নিউটাউন থানার আধিকারিক বিজন সমাদ্দার সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা। বিকেলে শহরের প্রাণকেন্দ্র সিটি সেন্টারের চতুরঙ্গ ময়দানে একই অনুষ্ঠান পালন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারের ডেপুটি কমিশনার (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা, দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক অনির্বাণ কোলে, নগর নিগমের ডেপুটি মেয়র অনিন্দিতা মুখার্জী, দুর্গাপুর থানার আধিকারিক রাজশেখর মুখার্জী ও নমনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নোডাল অফিসার অনন্যা দে সহ অন্যান্যরা।

নমনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নোডাল অফিসার অনন্যা দে বলেন, ‘দুর্গাপুরে প্রায় ৭০০-র অধিক বয়স্ক মানুষ নমন প্রকল্পে নথিভুক্ত হয়েছেন। আমরা তাঁদের আজ মিষ্টির প্যাকেট ও স্যানিটাইজার দিই। তাঁদের সমস্যার কথা জানতে চাই। আমরা তাঁদের নিয়মিত খোঁজ রাখি। তাঁদের যে কোন রকম সমস্যা সর্বদা তাঁদের পাশে থাকি। সকলকে খুশিতে রাখার চেষ্টা করি। বয়স হয়ে গেলে তাঁদের আর সমাজে প্রয়োজন নেই এমন চিন্তা ভাবনা যেন না আসে তার জন্যই এমন উদ্যোগ নেওয়া।’

 

Like Us On Facebook