দুর্গাপুরের বীরভানপুর মহাশ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লির দুটি ইউনিট রয়েছে। একটি গত দেড়বছর ধরে বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। আর একটিতে লাগাতার দাহ কাজ চলছে। কিন্তু একটি ইউনিটে ক্রমশ চাপ বাড়তে থাকায় একটি ইউনিট প্রায় বিকল হয়ে পড়ছে। কাঠ কিনে শবদাহ করতে হচ্ছে শ্মশান যাত্রীদের। সময়ও লাগছে অনেক। গত কয়েকদিন আগে বিকল হওয়ার পর শ্মশান যাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারপর ঠিক করা হলেও রবিবার ভোর থেকে সেই ইউনিটটি ফের বিকল হয়ে পড়ে। এর ফলে দুর্গাপুর মহকুমা সহ বাঁকুড়ার বড়জোড়া সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার শ্মশান যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
রবিবার এক দলীয় কর্মীর বাবাকে বীরভানপুর মহাশ্মশানে দাহ করতে এসে অন্যান্য শ্মশান যাত্রীদের মতো চরম দুর্ভোগে পড়েন বড়জোড়ার বিধায়ক সুজিত চক্রবর্তী। বৈদ্যুতিক চুল্লি বিকল হয়ে পড়ায় শবদাহ করতে না পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সুজিত চক্রবর্তী সহ দলীয় কর্মীরা। খবর পেয়ে ছুটে যান দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা জেলার আইএনটিটিইউসির সভাপতি বিশ্বনাথ পাড়িয়াল। খবর পেয়ে বীরভান মহাশ্মশানে ছুটে যান দুর্গাপুর পুরসভার ২৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবব্রত সাঁই। দুই শাসকদলের নেতা ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে আসরে নামেন। শ্মশান যাত্রীদের বোঝান। এবং বিদ্যুৎ দফতরের লোকজনদের ডেকে বিকল ইউনিট ফের সচল করান। এই বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দেন বড়জোড়ার বিধায়ক সুজিত চক্রবর্তী।
দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়াল বলেন, ‘সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিতে না পারার ফলে এই সমস্যা হচ্ছে বার বার। প্রায় দিনই বৈদ্যুতিক চুল্লি খারাপ হয়ে যাচ্ছে আর শ্মশানযাত্রীরা দুর্ভোগে পড়ছেন। পুরসভার মিটিংয়ে এই বিষয়ে বারবার বলা হয়েছে এবং স্থায়ী সমাধান করতে ৩২ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা বাজেট বরাদ্দ হয়েছে। খুব শীঘ্রই এই স্থায়ী সমাধান সমাধান হয়ে যাবে।’ যদিও এই বিষয়ে দুর্গাপুর পুরসভার মেয়র দিলীপ অগস্থির কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।