লকডাউনের সময় রেশনে নিম্ন মানের সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়ে দুর্গাপুরের স্টিল টাউনশিপের প্রান্তিকা পাঁচমাথা মোড়ের কাছে ডিএসপি এমপ্লয়িজ কো-অপারেটিভ সোসাইটির সেন্ট্রাল গোডাউনে অভিযান চালান দুর্গাপুর পুরসভার মেয়র পারিষদ অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনার মোকাবিলায় চলছে লকডাউন। এই সময় গৃহবন্দি মানুষের জন্য পাঠানো রাজ্য সরকারের রেশন নিয়ে কালোবাজারি রুখতে বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের রেশন বন্টন সংস্থার সেন্ট্রাল গোডাউনে অভিযান চালায় দুর্গাপুর পুরসভার মেয়র পারিষদ অমিতাভ বন্দোপাধ্যায়।
অভিযান শেষে অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এই সেন্ট্রাল গোডাউনে রেশন সামগ্রীর হিসেবে প্রচুর গরমিল রয়েছে। কোন হিসেব আপডেট দিতে পারল না কো-অপারেটিভ সোসাইটির কর্মীরা। আমি বিষয়টি রাজ্যের সমবায় মন্ত্রীকে ফোনে জানালাম। আমি এদের কাছে রেশনের আপডেট হিসেব নিয়ে রাজ্যের সমবায় মন্ত্রীর কাছে তা পাঠাবো। করোনা মোকাবিলায় দেশে লকডাউন চলছে। সাধারণ মানুষ থেকে গরীব মানুষ সকলেই দু’মুঠো খেতে পাচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপ্রাণ চেষ্টা করছেন যাতে মানুষের কাছে রেশন পৌঁছে দেওয়া যায়। আর সেই রেশনের ভালো চাল রেখে দিয়ে খারাপ নিম্ন মানের চাল দেওয়া হচ্ছে রেশন দোকানগুলি থেকে। এইসব বরদাস্ত করব না আমি। এতে আমাদের সরকারের এবং দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তাই আমি আজ অভিযান করলাম। হিসাব আপডেট না পেলে আমি এই সংস্থার বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করবো।’
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডিএসপি এমপ্লয়িজ কো-অপারেটিভ সোসাইটির ডাইরেক্টর কমলজিৎ সিং। তিনি বলেন ‘করোনা মোকাবিলায় লকডাউনের কারণে আমাদের সেন্ট্রাল গোডাউনের কর্মীরা ডিউটিতে আসছেন না। তাই হিসেব এখন আপডেট নেই। কিন্তু রেশন দোকানে সাপ্লাইএর হিসেব আমাদের আপডেট রয়েছে। কর্মীরা কাজে যোগদান করলে দেখবেন সমস্ত হিসেব আপডেট রয়েছে।’ কমলজিৎ সিং বলেন, ‘আমরা কালোবাজারিতে যুক্ত নই, আমরা দুর্নীতি করিনি। তাই এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করছি। আমরা মেয়র পারিষদ অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ই-মেলে সমস্ত হিসেব পাঠিয়ে দেব। দেখবেন সমস্ত হিসেব আপডেট রয়েছে।’