বিভিন্ন আঙ্গিকে বাগদেবীর আরাধনায় মাতল দুর্গাপুর। কোথাও চকের তৈরি মূর্তিতে বাণী বন্দনা হচ্ছে, আবার কোথাও প্লাস্টিক বর্জনের বার্তা দিতে প্লাস্টিকের নানান উপকরণে তৈরি হল বাগদেবীর পুজো মন্ডপ। আবার কোথাও ইসরোর লঞ্চপ্যাডের আদলে মন্ডপ তৈরি করে ইসরোর সাফল্য তুলে ধরা হল তো আবার কোথাও হোয়াটস্ অ্যাপ চ্যাটের আদলে তৈরি হল সরস্বতী মন্ডপ।
দুর্গাপুরের ইস্পাত নগরীর হর্ষবর্ধন রোডের বাসিন্দা সঙ্গীত শিক্ষক এবং চিত্রকর অমিত কুমার সরকার ১৫০০ রঙীন চকে নিজের হাতে সরস্বতী মূর্তি গড়ে নিজের বাড়িতে বাণী বন্দনা করলেন। অমিতবাবু প্রতিবছরই নতুন নতুন শিল্পকলার মাধ্যমে মূর্তি তৈরি করে বাণী বন্দনা করেন। কখনও কাগজ, কখনও বাদামের খোসা সহ নানান দ্রব্য দিয়ে সরস্বতী গড়ে এলাকায় সুনাম অর্জন করেছেন। এবার গড়লেন রঙীন চকের সরস্বতী প্রতিমা।
উখরার ইউনাইটেড ক্লাবের সদস্যরা এবার প্লাস্টিক বর্জনের বার্তা ছড়িয়ে দিতে প্লাস্টিকের ক্যারিবাগ সহ বিভিন্ন প্লাস্টিকের সামগ্রী দিয়ে মন্ডপ এবং প্রতিমা তৈরি করে বাণী বন্দনা করল। মন্ডপের সামনে একটি প্রকান্ড আকারের প্লাস্টিকের সামগ্রী দিয়ে দৈত্য বানিয়ে মানব সমাজে প্লাস্টিকের সামগ্রী কতবড় বিপদ তা বোঝানো হয়েছে।
কাঁকসার মাধবমাঠ শিবাজী সংঘ আবার ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানীদের সাফল্য তুলে ধরতে ইসরোর লঞ্চপ্যাডের আদলে মন্ডপ তৈরি করে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করেছেন ক্লাবের সদস্যরা। অপরদিকে দুর্গাপুরের বেনাচিতির পশুপতি মার্কেটের একতা সংঘের কচিকাঁচারা আবার হোয়াটস্ অ্যাপের চ্যাট স্ক্রীনের আদলে মন্ডপ তৈরি করে সরস্বতী বন্দনায় মেতেছে।